কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে রোহিঙ্গাদের শীর্ষনেতা মোহাম্মদ মুহিবুল্লাহ(৪৮)কে গুলি করে হত্যার ঘটনায় আরও দুজন রোহিঙ্গাকে গ্রেপ্তার করেছেন ১৪ এপিবিএন সদস্যেরা।
আটক রোহিঙ্গারা হচ্ছেন—জিয়াউর রহমান এবং আব্দুস সালাম। গতকাল শুক্রবার মধ্যরাতে আর্মড পুলিশ ব্যাটেলিয়নের একটি দল উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করে।তাঁরা কুতুপালং আশ্রয়শিবিরের বাসিন্দা। পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তার দুজন রোহিঙ্গাদের সন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্য।
১৪ এপিবিএনের অধিনায়ক ও পুলিশ সুপার নাঈমুল হক বলেন, মুহিবুল্লাহ হত্যার ঘটনায় এই দুই রোহিঙ্গা জড়িত সন্দেহে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দুজনকে রাতেই উখিয়া থানার পুলিশে হস্তান্তর করা হয়েছে। এর আগে গতকাল বেলা ১১টার দিকে কুতুপালং আশ্রয়শিবিরে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হয় রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী সেলিম উল্লাহকে।
পুলিশ ও স্থানীয় রোহিঙ্গারা জানান, গত বুধবার রাত সাড়ে আটটার দিকে আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটসের (এআরএসপিএইচ) কার্যালয়ে ঢোকার সময় বন্দুকধারীদের গুলিতে নিহত হন মুহিবুল্লাহ।
তিনি ওই সংগঠনের চেয়ারম্যান ছিলেন। কার্যালয় থেকে ৩০ ফুট দূরেই তাঁর ঘর।
পরদিন বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে রোহিঙ্গা নেতা মুহিববুল্লাহ হত্যাকাণ্ডে নিহতের ভাই হাবিবুল্লাহ বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে উখিয়া থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও উখিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) কার্তিক চন্দ্র পাল বলেন, গ্রেপ্তার আসামি সলিমউল্লাহকে আজ শনিবার বিকেলে কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হবে। তাঁদের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন জানানো হবে।