আদালতের আদেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ২০১১ সালেই বিদায় নিয়েছে। এটি একটি মীমাংসিত বিষয়। উচ্চ আদালতই তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে মিউজিয়ামে পাঠিয়েছে। নতুন করে এ নিয়ে বিতর্কের কোন অবকাশ নেই। বললেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ।
রোববার (৩ অক্টোবর) দুপুরে মুন্সিগঞ্জের মাওয়ায় পদ্মা বহুমুখী সেতু নির্মাণ প্রকল্পে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে পুনর্বাসন সাইটে বরাদ্দকৃত জমির দলিল হস্তান্তর অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
এসময় বিএনপি মহাসচিবকে উদ্দেশ্য করে মন্ত্রী বলেন, নির্বাচন নিয়ে সরকারের নিরপেক্ষতার কোন বিষয় নেই। নিরপেক্ষ থাকতে হবে নির্বাচন কমিশনকে। তখন নির্বাচন পরিচালনা করবে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষ থাকলে নির্বাচনও নিরপেক্ষ হবে।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমেই নির্বাচনের সব কাজ হয়। নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন যেন গঠন করা যায় সে লক্ষ্যে সময়মতো ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পৃথিবীর অন্যান্য গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে যেভাবে নির্বাচন হয় বাংলাদেশেও সেভাবে নির্বাচন হবে। আমাদের গণতন্ত্র কিছুটা হলেও পরিপক্বতা পেয়েছে। ২০০১ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছিল, তারপরে ২০০৬সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করা হয়। কিন্তু তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনের মতো অবস্থা আর বাংলাদেশে নেই। তাই বিশৃঙ্খলা না করে সবাই নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিন।
জানা যায়, পদ্মা সেতু নির্মাণ প্রকল্পে ভিটে-বাড়ি হারানো পরিবারগুলো পুনর্বাসন সাইটে এতো দিন শুধুমাত্র প্লট বরাদ্দ নিয়ে বসবাস করলেও দলিল পাননি। অবশেষে ২০টি পরিবারের মাঝে প্লটের দলিল হস্তান্তর করা হলো। পর্যায়ক্রমে ২৯৬৩ পরিবারকে দলিল বুঝিয়ে দেয়া হবে।
অনুষ্ঠানে সেতু বিভাগের সচিব আবু বকর সিদ্দিকের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন, মুন্সিগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য সাগুফতা ইয়াসমিন এমিলি, পদ্মা সেতু প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক শফিকুল ইসলাম, পদ্মা সেতুর রেল সংযোগ প্রকল্পের প্রধান সমন্বয়ক মেজর জেনারেল এস এম জাহিদ হোসেনসহ আরও অনেকে।