নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার ভাসানচর আশ্রয়ণ প্রকল্প-৩ থেকে পালিয়ে যাওয়া ৪৭ রোহিঙ্গাকে স্বর্ণদ্বীপ থেকে আটক করেছে কোস্টগার্ড। আটককৃতদের মধ্যে ২৫ শিশু, ১০ পুরুষ ও ১২ নারী রোহিঙ্গা রয়েছেন।
বুধবার দুপুর ১২টার দিকে তাদের আটক করে ভাসানচর থানায় আনা হয়।
আটককৃত রোহিঙ্গা হলো, আব্দুল হামিদ (৩২), মহছেনা (২৮), জান্নাত আরা (১১), ইসমত আরা ( ৬), সাদিয়া আক্তার (৪), শওকত আরা (৯ মাস), সোনা আহাম্মদ (২৯), মো. ওসমান (৯), নুর বেগম (৩০), সেনোয়ারা (২০), মিনু য়ারা (৩), সামছু আলম (৩৫), নজরুল ইসলাম (৩০), আয়েশা বেগম (২৯), আব্দুল্লাহ (৮), আব্দুর রহমান (৬), জান্নাতুল ফেরদৌস (৩), শাহানা (১৭), মো. জাহিদ হোসেন (২৭), নুরু বেগম (২২), মো. হামিদ হোসেন (৯), মো. কামাল হোসেন (৮), আছমা বিবি (৪), রিশমা বিবি (৩), রুপবাহান (৬৩), আমির হোসেন (৩০), নবীন সোনা (২৮), সৈয়দ নুর (১০), পারভিন আক্তার (৭), তসমিন আরা (৫), জয়নাল (৩২), মরজিনা (৩০), পারভিন আক্তার (২০), ইমমান হোসেন মাহমুদ (১২), মো. নয়ন (১৩), আছমা (৭), তাসকিন (২), রহমত উল্যা (৩৫), রুজিনা (২৫), মো. আলী (১৯)সহ ৪৭ জন রোহিঙ্গা।
আটককৃতদের বিরুদ্ধে থানায় সাধারণ ডায়েরি করে ট্রিপলআরসি কার্যালয়ে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ বিষয়ে ট্রিপলআরসি পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
পুলিশ জানায়, গত ৩ অক্টোবর রোববার রাতের কোনো একসময় দালার চক্রের মাধ্যমে পালানোর উদ্দেশ্যে আশ্রয়ণ প্রকল্প-৩ থেকে একটি বোটযোগে বের হয়ে যায় ৪৭ রোহিঙ্গা নারী, পুরুষ ও শিশু।
সোমবার ভোরের কোনো একসময় কৌশলে বোটের মাঝি তাদের স্বর্ণদ্বীপে নামিয়ে দিয়ে চলে যায়। দুইদিন ধরে সেখানে অবস্থান করার পর রোহিঙ্গারা বিষয়টি আশ্রয়ণের তাদের আত্মীয়দের জানালে তারা থানায় জানায়।
জেলা পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম পরিবর্তনকে জানান, রোহিঙ্গাদের মাধ্যমে বিষয়টি জানার পর মঙ্গলবার রাতে তাদের উদ্ধারে স্বর্ণদ্বীপে যায় কোস্টগার্ড। কিন্তু রাতে জোয়ার না থাকায় কোস্টগার্ড ঘটনাস্থলে পৌঁছতে সময় লাগে। পরে গভীর রাতে তাদের স্বর্ণদ্বীপ থেকে উদ্ধারের পর আটক দেখিয়ে বুধবার ভাসানচর থানায় হস্তান্তর করা হয়।
আটককৃত রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে ট্রিপলআরসি চূড়ান্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে জানান জেলা পুলিশ সুপার।