টাঙ্গাইলে প্রথমবারের মতো করোনাভাইরাস প্রতিরোধে ফাইজারের টিকা দেয়া শুরু হয়েছে। এতে করে খুশি টিকাগ্রহীতারা। বিশেষ করে বিদেশ গমন ইচ্ছুকেরা।
আগে এই টিকা দিতে তাদের ঢাকা গিয়ে নানা বিড়ম্বনায় পড়তে হতে। এখন নিজ জেলায় দিতে পারায় তাদের ভোগান্তি কমবে।
ফাইজারের টিকা জেলায় আসার পর থেকে টিকাগ্রহীতাদের আগ্রহ অনেক বেড়েছে বলে জানায় স্বাস্থ্য বিভাগ।
বৃহস্পতিবার সকালে শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এ টিকা কেন্দ্রের উদ্বোধন করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ছানোয়ার হোসেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজের পরিচালক মোহাম্মদ আলী, অধ্যক্ষ নুরুল আমিন মিঞা, সিভিল সার্জন ডা. আবুল ফজল মো. সাহাবুদ্দিন খান, টাঙ্গাইল জেনারের হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক খন্দকার সাদিকুর রহমান, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহজাহান আনছারী, টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সভাপতি জাফর আহমেদ প্রমুখ।
সংসদ সদস্য ছানোয়ার হোসেন বলেন, টাঙ্গাইলে প্রবাসী সংখ্যা বেশি। আর প্রবাসীদের একটি দাবি ছিলো এখানে যেনে ফাইজারের টিকা দেয়া হয়। আজ এটা শুরু হওয়ায় তাদের দাবি পূরণ হলো। এতে করে নিজ জেলায় সহজেই তারা টিকা দিতে পারবে।
টিকাগ্রহীতারা বলেন, ফাইজারের টিকা দিতে পেরে আমরা খুশি। বিশেষ করে যারা বিদেশ যেতে চাচ্ছেন তাদের আর এখন ঢাকা যেতে হবে না। এ টিকার জন্য ঢাকা যেতে হতো। এতে করে একদিকে যেমন টাকার অপচয় হতো অন্যদিকে পড়তে হতো নানা বিড়ম্বনায়। নিজ জেলাতে কোনো প্রকার বিড়ম্বনা ছাড়াই টিকা নিতে পারায় খুশি আমরা।
এ ব্যাপারে সিভিল সার্জন ডা. আবুল ফজল মো. সাহাবুদ্দিন খান বলেন, ফাইজার টিকা নেয়ার জন্য মানুষের মধ্যে আগ্রহ বৃদ্ধি পেয়েছে। আমরা প্রতিদিন ৯শ থেকে এক হাজার মানুষকে এই ফাইজারের টিকা দেয়ার পরিকল্পনা হাতে নেয়া হয়েছে। বিশেষ করে যারা বিদেশগামী রয়েছেন তাদেরকে প্রথমে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এ টিকা দেয়া হবে। এর ফলে বিদেশগামী মানুষের ভোগান্তি কমবে। জেলায় ১৯ হাজার ৮৯০ ডোজ ফাইজারের টিকা রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, টাঙ্গাইলের মানুষকে সব ধরনের টিকা দেয়ার জন্য চেষ্টা করা হচ্ছে। জেলায় এখন পর্যন্ত প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজসহ ১০ লাখ ২৩ হাজার ৫০ জন মানুষকে করোনার টিকা দেয়া হয়েছে।