নবম শ্রেণির ছাত্র মেহেদী হাসান, বয়স-১৬। এই বয়সেই পড়াশোনার পাশাপাশি মানুষের বিপদে রক্তের খোঁজ দেয় মেহেদী। রক্তের প্রয়োজন হলেই কুষ্টিয়ার মানুষ খোঁজ করে মেহেদীকে।
মেহেদী কুষ্টিয়ার মিরপুর পৌরসভার সুলতানপুর মহল্লার ব্যবসায়ী উজ্জ্বল হোসেনের ছেলে। পড়ে কুষ্টিয়ার মিরপুর বর্ডার গার্ড পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণিতে।
সেখান থেকেই বন্ধুরা মিলে ঠিক করে মানুষের পাশে থাকতে এমন কিছু করতে হবে। পরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি রক্তের সন্ধানে গ্রুপ খুলে তারা। নাম দেয় রক্তদানের অপেক্ষায় মিরপুর।
সেখান থেকেই রক্তদাতার সন্ধান শুরু হয়। নিজের পড়াশোনার পাশাপাশি মেহেদী হাসান মানুষের জরুরি প্রয়োজনে অসুস্থ ব্যক্তির রক্তের প্রয়োজন পড়লে তা সংগ্রহ করে দেয়ার চেষ্টা করে।
শুধু তাই নয়,অনেক মানবিক কাজও করে থাকে মেহেদী হাসান। কারও জরুরি প্রয়োজনে রক্ত দরকার হলেই মেহেদীর মোবাইলে অথবা সরাসরি যোগাযোগ করে। সে তাৎক্ষণিক ওই ব্যক্তিকে কোনো টাকা ছাড়াই রক্ত সংগ্রহ করে দেন। এ জেলায় এমন অসংখ্য ঘটনা রয়েছে। মানুষের বিপদে পাশে থাকে এই তরুণ।
এ ব্যাপারে মেহেদী হাসানের সঙ্গে কথা হলে সে জানায়, কোনো ব্যক্তি রক্তের প্রয়োজন জানালে বন্ধু,পরিচিতজন, নিকটাত্মীয়দের কাছে রক্তদানের জন্য অনুরোধ করি। সে ব্যক্তি সম্মত হলে অসুস্থ ব্যক্তিকে রক্তদান করা হয়। অসুস্থ মানুষকে রক্ত সংগ্রহ করে দেয়ার কাজটি আমি করে যাচ্ছি। এতে আমার বন্ধুরা সবচেয়ে বেশি সহযোগিতা করে।
কাজগুলো এখন বেশ উপভোগ করছি। কাজ করতে ভালো লাগে তাই প্রতিদিন রক্ত খোঁজের কাজ নিয়েই ব্যস্ত থাকি মানুষের জন্য।
মেহেদী হাসান জানায়, এখন পর্যন্ত কি পেয়েছি সেটি আমার কাছে মুখ্য নয়, মানুষের জন্য কাজ করতে চাই। আমি বিশ্বাস করি আজকের কাজগুলোই কাল আমার জন্য বিশেষ অর্জন হবে।
মিরপুর উপজেলা নাগরিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক নজরুল করিম বলেন, মানবিক একজন তরুণ মেহেদী হাসান। এই বয়সে মানুষের বিপদে রক্তের খোঁজ দেয়া একজন তরুণের কাজ সত্যি প্রশংসিত। তার মতো তরুণ প্রতিটি ঘরে হোক। এতে অনেক মানুষ উপকৃত হবে।