বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) যুগ্ম-সচিব মো. আবুল কাসেমের কাছে সংরক্ষিত আসনের শূন্য পদে মনোনয়নপত্র জমা দেন শেরিফা কাদের।
পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের প্রেস সচিব খন্দকার দেলোয়ার জালালী এ তথ্য জানান।
জাতীয় পার্টির নেতা ও সাংসদ অধ্যাপক মাসুদা এম রশিদ চৌধুরী গত ১৩ সেপ্টেম্বর মারা গেলে সংসদে নারীদের জন্য সংরক্ষিত ৪৫ নম্বর আসনটি শূন্য হয়। নিয়ম অনুযায়ী, উপ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির প্রার্থীই সেখান থেকে নির্বাচিত হবেন।
বাংলাদেশের সংবিধানের নিয়মে দল মনোনীত একক প্রার্থীরাই প্রতিটি সংরক্ষিত আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। ফলে শেরিফা কাদেরের এমপি হওয়া এখন কেবল সময়ের ব্যাপার।
নির্বাচন কমিশনের তফসিল অনুযায়ী, আগামী ১৮ অক্টোবর মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের পর ২৩ অক্টোবরের মধ্যে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করা যাবে।
জাতীয় সংসদে এ উপ নির্বাচনের জন্য ভোটের তারিখ রাখা হয়েছে ২৭ অক্টোবর, যদিও কখনোই তার প্রয়োজন পড়ে না।
সরাসরি ভোটে ৩০০ আসনে নির্বাচনের পর নিবন্ধিত দলগুলোর আসন সংখ্যার অনুপাতে সংরক্ষিত ৫০টি নারী আসন বণ্টন করা হয়। দলের মনোনীত একক প্রার্থীরাই প্রতিটি সংরক্ষিত আসনে মনোনয়নপত্র জমা দেন।
প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সময় পার হলে তাদেরই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়। ফলে ভোটের আর প্রয়োজন হয় না।
শেরিফা কাদের জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা এবং দলটির সাংস্কৃতিক উইং জাতীয় সাংস্কৃতিক পার্টির আহ্বায়ক।
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও সংসদের বিরোধী দলীয় উপনেতা জিএম কাদের লালমনিরহাট-৩ আসনের সংসদ সদস্য। আর তার স্ত্রী শেরিফা কাদের লালমনিরহাট জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি।
জিএম কাদেরের ভাই, পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান এইচএম এরশাদ তার ভাইয়ের স্ত্রী শেরিফাকে দলের ভাইস চেয়ারম্যান করে নিয়েছিলেন।
বৃহস্পতিবার মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, জহিরুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ মঞ্জুর হোসেন, কোষাধ্যক্ষ আবু তৈয়ব, জাতীয় সাংস্কৃতিক পার্টির সদস্য সচিব আলাউদ্দিন আহমেদ সেখানে উপস্থিত ছিলেন।