রূপালি গিটার পড়ে আছে, নেই তার শিল্পী আইয়ুব বাচ্চু। বাংলা ব্যান্ড সঙ্গীতের অন্যতম প্রাণপুরুষ। ২০১৮ সালের ১৮ অক্টোবর ভক্তদের কাঁদিয়ে মাত্র ৫৬ বছর বয়সে তিনি পাড়ি জমান পরপারে।
দেশের ব্যান্ড সংগীতের কিংবদন্তি আইয়ুব বাচ্চুর প্রয়াণের তিন বছর পেরিয়ে গেলো। রূপালি গিটারের এই শিল্পী হারিয়ে গেছেন দূর নক্ষত্রের দেশে। তবে ভক্তদের হৃদয়ে তিনি এখনো স্বমহিমায়।
দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকীতে আইয়ুব বাচ্চুর গানকে দেয়া হয়েছে রাষ্ট্রীয় সম্মান। সরকারের উদ্যোগে ডিজিটাল পদ্ধতিতে তার গান সংরক্ষণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
ছোটবেলা থেকেই গিটারের প্রতি প্রবল টান ছিলো আইয়ুব বাচ্চুর। কলেজ জীবনে বন্ধুদের নিয়ে গড়ে তোলেন ব্যান্ড। নানা অনুষ্ঠানে বন্ধুরা মিলে গানে গানে মাতিয়ে রেখেছেন সেই সময়গুলো।
শুরুর দিকে ব্যান্ড দল ‘ফিলিংস’ এর সাথে যুক্ত হন ব্যান্ড সংগীতের এই কিংবদন্তি। ১৯৮০ সালে যোগ দেন ‘সোলস’ ব্যান্ডে। এই ব্যান্ডের লিড গিটার বাজিয়েছেন টানা ১০ বছর। ১৯৯১ সালে গড়ে তোলেন নিজের ব্যান্ড ‘এলআরবি’। এভাবেই ধীরে ধীরে এগিয়ে চলা এই সংগীত শিল্পীর।
আইয়ুব বাচ্চু ছিলেন একাধারে গীতিকার, সুরকার, সঙ্গীত পরিচালক এবং গায়ক। তার হাত ধরে সমৃদ্ধ হয়েছে বাংলা ব্যান্ড এবং গানের জগৎ। চলচ্চিত্রও তার হাত ধরে পেয়েছে অনেক শ্রোতাপ্রিয় গান।
১৯৬২ সালের ১৬ আগস্ট চট্টগ্রামের এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন আইয়ুব বাচ্চু। নিজেকে একসময় নিয়ে যান কিংবদন্তীর উচ্চতায়। যদিও কখনো দূরে সরে যাননি মানুষের কাছ থেকে। মৃত্যুবার্ষিকীতে তাই শোক ও শ্রদ্ধায় তাকে স্মরণ করলেন অগনিত ভক্ত ও শুভানুধ্যায়ী।