শুক্রবার হৃদযন্ত্র বিকল হয়ে মৃত্যু হয়েছে পুনীত কুমারের। জীবনবাতি নিভলেও বিদায়বেলাতেও আলো ছড়িয়ে গেলেন দক্ষিণী নায়ক। তার চক্ষুদানে জ্যোতি ফিরল চার জনের।
মরণোত্তর চক্ষুদান পুনীতের পরিবারিক ঐতিহ্য। ২০০৬ সালে মারা যান তার বাবা সুপারস্টার রাজকুমার। মা পার্বতাম্মার মৃত্যু হয় ২০১৭-তে। দু’জনেই চক্ষুদান করেছেন। তাই পুনীতের মৃত্যুশোকেও হাসপাতালকে খবর দিতে দেরি করেননি ভাই রাঘবেন্দ্র। অভিনেতার চোখ জোড়া সংগ্রহের জন্য চক্ষুব্যাঙ্কে ফোন করেন তিনি।
নারায়ণ নেত্রালয়ের চেয়ারম্যান ও ম্যানেজিং ডিরেকটর ভুজাঙ্গ শেট্টি জানান, ‘আমি রাঘবেন্দ্র রাজকুমারের ফোন পাই। তিনি বলেন ডাক্তার তাড়াতাড়ি এসে চক্ষু সংগ্রহ করুন। বিক্রম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল পুনীতকে। সেখানে প্রচুর মানুষ ভিড় করেছিলেন। ফলে কীভাবে সময়ে পৌঁছবে সে নিয়ে উৎকণ্ঠায় ছিল রাঘবেন্দ্র। অ্যাম্বুল্যান্সে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিই’।
পুনীতের দু’টি কর্নিয়া চোখের আলো ফিরিয়েছে চারজনের। শেট্টি বলেন,’আমরা কর্নিয়াকে দু’টি ভাগে ভাগ করেছি। যাদের চোখে অগ্রভাগে সমস্যা রয়েছে তাদের সামনের দিকের অংশ দেওয়া হয়েছে। পশ্চাদের সমস্যা থাকা ব্যক্তিরা পেয়েছেন পিছনের অংশ। এর আগে এমনটা করিনি। একইদিনে একজনের চোখে চার জনের চোখের জ্যোতি ফিরল।’ গোটা অপারেশনে লেগেছে ৮ ঘণ্টা। ৬ জনের কর্নিয়া বিশেষজ্ঞদের দল ৩টি অপারেশন থিয়েটার সামলেছেন।