কঙ্গনার ‘ভিক্ষের স্বাধীনতা’ মন্তব্যকে কেন্দ্র করে তরজা অব্যাহত। এবার অভিনেত্রীর মন্তব্যের বিরোধিতা করে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দকে চিঠি লিখলেন দিল্লির মহিলা কমিশনের প্রধান স্বাতী মালিওয়াল। নিজের চিঠিতে অভিনেত্রীর পদ্মশ্রী কেড়ে নেওয়ার আরজি জানিয়েছেন স্বাতী। পাশাপাশি দেশদ্রোহের অভিযোগে কঙ্গনার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করার পক্ষেও প্রশ্ন করেছেন।
এক টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে কঙ্গনা দাবি করেছিলেন, ভারত প্রকৃত স্বাধীনতা পেয়েছিল ২০১৪ সালে, যখন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ক্ষমতায় এসেছিলেন। ১৯৪৭ সালে দেশ স্বাধীনতা পায়নি। ওটা ছিল ভিক্ষা। স্বাভাবিকভাবেই অভিনেত্রীর এমন মন্তব্যের পর বিতর্ক শুরু হয়ে যায়।
বিরোধীদের দাবি, এমন মন্তব্যের জন্য কঙ্গনার পদ্মশ্রী কেড়ে নেওয়া হোক। তার বিরুদ্ধে মামলা রুজুর হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়। এই পরিস্থিতিতে আত্মপক্ষ সমর্থনে সোশ্যাল মিডিয়াকে বেছে নেন কঙ্গনা। এর আগে এই ধরনের বিতর্কে টুইটারকেই বেছে নিতে দেখা গিয়েছে তাকে। কিন্তু বর্তমানে সেখানে তিনি নিষিদ্ধ। তাই গত শনিবার ইনস্টাগ্রামে অভিনেত্রী জানান, তিনি পদ্মশ্রী ফিরিয়ে দিতে প্রস্তুত। কিন্তু সেজন্য নির্দিষ্ট শর্ত রয়েছে।
ইনস্টাগ্রামে কঙ্গনা লেখেন, ‘ওই সাক্ষাৎকারেই কিন্তু সব কিছু পরিষ্কার করে বলে দেওয়া হয়েছিল। ১৮৫৭ সালেই প্রথমবার দেশ স্বাধীনতার জন্য একজোট হয়েছিল। সেই সঙ্গে সুভাষচন্দ্র বসু, রানি লক্ষ্মী বাঈ ও বীর সাভারকরের কথাও জানিয়েছিলাম আমি। ১৮৫৭ সালের কথা আমি জানি। কিন্তু ১৯৪৭ সালে কোন যুদ্ধ হয়েছিল, তা আমি জানি না। যদি কেউ তা আমার নজরে আনতে পারেন তাহলে আমি আমার পদ্মশ্রী ফিরিয়ে দেব। ক্ষমাও চাইব। দয়া করে আমাকে এবিষয়ে সাহায্য করুন’।
এদিকে দিল্লি মহিলা কমিশনের প্রধান স্বাতী মালিওয়াল রাষ্ট্রপতিকে লেখা চিঠিতে দাবি করেছেন, কঙ্গনার এই ‘ভিক্ষের স্বাধীনতা’ মন্তব্য কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। ভুল করে করা মন্তব্যও নন। অভিনেত্রী এমন বিতর্কিত মন্তব্য করতেই থাকেন। যাদের সঙ্গে কঙ্গনার মতবিরোধ হয় তাদের বিরুদ্ধেও আক্রমণাত্মক কথা বলতে থাকেন। এবার নিজের সাম্প্রতিক এই মন্তব্যের মাধ্যমে মহাত্মা গান্ধী, ভগৎ সিংয়ের মতো বিপ্লবীদের অসম্মান করেছেন কঙ্গনা, এমনই অভিযোগ স্বাতী মালিওয়ালের।