আওয়ামী লীগের পতন শুরু হয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেছেন, এক হাজার ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন হয়েছে। অর্ধশতাধিক ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ হেরে গেছে। এতে বোঝা যাচ্ছে তাদের পতন শুরু হয়ে গেছে।
আজ মঙ্গলবার নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের সড়কে অনুষ্ঠিত এক সমাবেশে তিনি এ সব কথা বলেন।
দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে উন্নত চিকিৎসার দাবিতে বিএনপির পক্ষ থেকে এই বিভাগীয় সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, এই সরকারকে সরাতে হলে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে বিশেষ করে তরুণ সমাজ, ছাত্র-ছাত্রী ও যুব সমাজকে। কারণ এই দেশে যত আন্দোলনে সফলতা এসেছে সবগুলো তাদের মাধ্যমেই এসেছে। তাই খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হলে এবং আন্দোলন বেগবান করতে হলে তরুণ ও যুব সমাজকে সবার আগে এগিয়ে আসতে হবে।
তিনি বলেন, আজকের সমাবেশে লাখো জনতার ঢল নেমেছে। এই জনতার ঢল দেখেই বোঝা যাচ্ছে বেগম খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানো না হলে এদেশের জনগণ চুপ করে বসে থাকবে না।
‘খালেদার ফের রক্তক্ষরণ হয়েছে’
মির্জা ফখরুল বলেন, গতকাল সন্ধ্যায় এ জেড এম জাহিদ হোসেন আমাকে ফোন করে বললেন যেতে। তার চিকিৎসা করছেন প্রায় ১০ জন। তারা বসে আছেন। প্রত্যেকের মুখ অত্যন্ত… বলা যেতে পারে অত্যন্ত চিন্তিত মুখ। আমি ঘরে ঢুকে তাদেরকে জিজ্ঞাসা করলাম কি হয়েছে। তারা বললেন, আমরা যেটা আশঙ্কা করেছিলাম, যেটা ভয় পাচ্ছিলাম। আমরা যেটা বলেছি, যে যেকোনো সময় আবার রক্তক্ষরণ হতে পারে। বন্ধুগণ কাল সন্ধ্যায় আবার তার রক্তক্ষরণ হয়েছে।
‘কোনও ক্ষতি হলে মানুষ রেহাই দেবে না’
তিনি বলেন, আজ সকালে তিনি একটু ভালো আছেন। এই ভালোকে ডাক্তাররা বলেছেন ভালো নয়। কারণ তারা (ডাক্তাররা) বলেছেন বেগম খালেদা জিয়ার যে অসুখ তার চিকিৎসা এখন আর এখানে নেই। তার চিকিৎসা করতে হলে অবশ্যই বিদেশে উন্নত কোথাও চিকিৎসা করতে হবে। কিন্তু কি দুর্ভাগ্য আমাদের কি অভাগা জাতি আমরা। এমন একটা সরকার পেয়েছি যারা জোর করে ক্ষমতায় বসে আছে।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার যদি সুচিকিৎসা না হয়, যদি তার কোনও ক্ষতি হয়, তাহলে এই দেশের মানুষ কোনও দিনই আপনাদের রেহাই দেবে না। দায় সব আপনাদের, সেই দায় আপনাদের বহন করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী কূটনৈতিক ও বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতদের সামনে বলেছেন আমরা বেগম খালেদা জিয়ার কাগজপত্র বিদেশে পাঠিয়েছি। কেন বলেছেন, কূটনীতিকরা… বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতেরা ইতিমধ্যে এ সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করেছে, এইজন্য।
ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান, আব্দুস সালাম, শহিদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানী, রফিকুল আলম মজনু, আমিনুল ইসলাম,সাইফুল আলম নীরব, সুলতান সালাউদ্দীন টুকু, কৃষিবিদ হাসান জাফির তুহিন, শহিদুল ইসলাম বাবুল, ফজলুর রহমান খোকন, ইকবাল হোসেন শ্যামল, মোস্তাফিজুর রহমান, আব্দুল কাদের ভূঁইয়া জুয়েল, আফরোজা আব্বাস, সুলতানা আহমেদ, হেলাল খান, জাকির হোসেন।
সমাবেশ শেষ হওয়ার পর কয়েক প্লাটুন পুলিশ নয়া পল্টন এলাকায় অবস্থান নেয়। সড়ক থেকে ধীরে-ধীরে নেতাকর্মীদের সরিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক করে।
