বিয়ের পর মাত্র এক সপ্তাহ সংসার করতে না করতেই স্বামী ফারুক হোসেন তার স্ত্রীকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিয়েছে।
২ লাখ টাকা দেওয়ার পরও আরও ৩ লাখ টাকা যৌতুক না দেওয়ায় এ ঘটনা ঘটিয়েছে সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার কুলিয়া ইউনিয়নের কুলিয়া গ্রামের ফারুক হোসেন। নিরূপায় হয়ে স্ত্রী মামলা করেছেন সাতক্ষীরার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতে।
তবে ফারুক হোসেন দাবি করেছেন, তাকে জোর করে ধরে নিয়ে গিয়ে বিবাহ রেজিস্ট্রারের সামনে স্বাক্ষর করিয়ে বিয়ে করানো হয়েছে। এ সময় তাকে মারধর করে দুজনের ছবিও তুলে রাখে তারা।
কুলিয়া ইউনিয়নের বালিয়াডাঙা গ্রামের ওই নারী জানান, ফারুক হোসেনের সঙ্গে তার সম্পর্ক ছিল। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ৯ ডিসেম্বর সাতক্ষীরার থানাঘাটায় বিবাহ রেজিস্ট্রারের মাধ্যমে তাদের দুজনের বিয়ে সম্পন্ন হয়। এ সংক্রান্ত কাবিননামায়ও ৩ লাখ টাকা দেনমোহরে স্বাক্ষরিত হয়।
এদিকে বিয়ের পর বাড়ি আসতেই ফারুক হোসেন তার কাছে ৫ লাখ টাকা দাবি করে। তিনি তাকে ২ লাখ টাকা দেন। কিন্তু আরও ৩ লাখ টাকা না দেওয়ায় মাত্র কয়েকদিনের মাথায় ফারুক তাকে বাড়ি থেকে ১৭ ডিসেম্বর মারধর করে বের করে দেয়।
অভিযোগ করে তিনি বলেন, ফারুক তাকে নানাভাবে হুমকি-ধমকি দিচ্ছে। এমনকি একজন ইউপি সদস্যকে তাদের বাড়িতে এনে তাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে বিষয়টি মিটমাট করে নেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছে। এ প্রসঙ্গে ফারুক হোসেন বলেন, আমি কাউকে বিয়ে করিনি। আমার কাছ থেকে জোর করে স্বাক্ষর করিয়ে বিয়ের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।