এ বছর ৩৪ কোটি ৭০ লাখ ২২ হাজার ১৩০ কপি পাঠ্যপুস্তক ৪ কোটি ১৭ লাখ ২৬ হাজার ৮৫৬ জন শিক্ষার্থীর মাঝে বিনামূল্যে বিতরণ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
তিনি বলেন, এর মধ্যে দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য ব্রেইল পাঠ্যপুস্তক ও ৫টি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর শিক্ষার্থীদের মাতৃভাষায় প্রণীত পাঠ্যপুস্তক রয়েছে।
বৃহস্পতিবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এসএসসির ফল প্রকাশ ও বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ অনুষ্ঠানের উদ্বোধনকালে এ কথা বলেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, ২০১০ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত সর্বমোট ৪০০ কোটি ৫৪ লাখ ৬৭ হাজার ৯১১ কপি বই বিতরণ করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে রূপকল্প ২০৪১ ঘোষণা করেছেন, তা বাস্তবায়ন করতে শিক্ষা ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন আনা হচ্ছে। পরিবর্তনশীল বিশ্বের শ্রমবাজারের চাহিদা অনুযায়ী শিক্ষাব্যবস্থাকে ঢেলে সাজনো হচ্ছে। সরকার জ্ঞানভিত্তিক শিক্ষার পরিবর্তে দক্ষতা ও প্রায়োগিক শিক্ষায় গুরুত্বারোপ করছে। সে লক্ষ্য অর্জনে নতুন পাঠ্যক্রম প্রণয়নের কাজ চলমান রয়েছে।
২০২২ সালে ৬০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নতুন কারিকুলাম পাইলটিং হবে এবং ২০২৩ সাল থেকে নতুন পাঠ্যক্রমের ভিত্তিতে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করা হবে। শিক্ষা ব্যবস্থার সব পর্যায়ে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। শিক্ষার গুণগত মান বৃদ্ধিতে চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
তিনি বলেন, দেশে দক্ষ জনসম্পদ সৃষ্টি করতে সরকার কারিগরি শিক্ষায় ভর্তির হার ২০৩০ সাল নাগাদ ৩০ শতাংশ এবং ২০৪০ সাল নাগাদ ৫০ শতাংশে উন্নীত করার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। সরকারের গৃহীত নানা কার্যক্রমের ফলে বর্তমানে কারিগরি শিক্ষায় অংশগ্রহণের হার উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।
সরকার চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের উপযোগী শিক্ষাক্রম প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়েছে। একই সঙ্গে বাড়ানো হচ্ছে কারিগরি শিক্ষার পরিধি। দেশের প্রতিটি উপজেলায় একটি করে টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজের স্থাপনের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। ১০০টি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের নির্মাণকাজ চলমান রয়েছে। ৩২৯টি টেকনিক্যাল স্কুল স্থাপন প্রকল্প অনুমোদিত হয়েছে। ৮টি বিভাগীয় শহরে ৮টি মহিলা টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ স্থাপন করা হবে যা কর্মবাজারে নারীর অংশগ্রহণ বৃদ্ধি করে নারী ক্ষমতায়নে বিশেষ ভূমিকা রাখবে।
মন্ত্রী জানান, আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। পরীক্ষার ফল প্রকাশের বিশাল এ কর্মযজ্ঞ সম্পূর্ণভাবে ডিজিটাল পদ্ধতিতে সম্পন্ন হয়েছে। শিক্ষার্থীরা ঘরে বসে অনলাইনে ফরম পূরণ করেছে এবং আজ প্রকাশিত ফলও তারা ঘরে বসেই সংগ্রহ করতে পারবে। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট বোর্ডের ওয়েবসাইট, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং মোবাইল ফোনের মাধ্যমে পরীক্ষার ফল জানতে পারবে।