জনগণ করোনা মহামারির প্রভাব কাটিয়ে আর্থিকভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে বলে দাবি করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল।
বুধবার ক্রয়সংক্রান্ত কমিটি (সিসিপিপি) এবং অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত কমিটির (সিসিইএ) বৈঠক শেষে অনলাইন ব্রিফিংকালে তিনি এ কথা বলেন।
বিদ্যুতের শুল্ক আরও বাড়ানো হলে জনগণ কীভাবে তা পরিশোধ করবে এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, আমার বিশ্বাস মানুষ এখন ভালো আর্থিক অবস্থার মধ্যে আছে এবং তাদের অর্থ খরচের সামর্থ্য রয়েছে।
তিনি বলেন, আমি এই ধারণার সঙ্গে একমত না যে জনগণের বিদ্যুতের জন্য বর্ধিত শুল্ক পরিশোধ করার সামর্থ্য নেই।
তিনি বলেন, তবে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর কোনো প্রস্তাব আপাতত আমাদের হাতে নেই। এমন কোনো প্রস্তাব এই মুহূর্তে আমাদের কাছে আসেনি। প্রস্তাব এলে পরে এ ব্যাপারে জানাতে পারব। তখন এ বিষয়ে কথা বলব।
বৈঠকে কয়েকটি ভাড়াভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। মেয়াদ বাড়ানোর কারণ জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, এগুলোর মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। তাই বাড়ানো হয়েছে। বিদ্যুৎ না দিলে টাকা পাবেন না, কেন্দ্রগুলোর সঙ্গে এই হচ্ছে সরকারের চুক্তি। তবে আমরা কোনো লোকসানের ব্যবস্থা রাখিনি। এখনো অনেক বিদ্যুৎকেন্দ্র করতে হবে।
ক্রয় কমিটির বৈঠকে ১২টি প্রস্তাব অনুমোদিত হয়েছে। যাতে ব্যয় হবে ৭২ হাজার ৫৪০ কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকারি কোষাগার থেকে ব্যয় হবে ৭০ হাজার ৮২৪ কোটি টাকা। বাকি টাকা ভারত থেকে ঋণ হিসেবে নেওয়া হবে।