খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসা ও মুক্তির দাবিতে চলমান আন্দোলনের যৌক্তিকতা তুলে ধরে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া, ঠাকুরগাঁও থেকে চট্টগ্রামে—সব জায়গাতেই আন্দোলনের ওয়ার্মআপ শুরু হয়েছে। এ আন্দোলন ততক্ষণ বন্ধ হবে না, যতক্ষণ না দেশনেত্রী খালেদা জিয়া মুক্ত হবেন আর তার সুচিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে পাঠোনো হবে।’
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে সুচিকিৎসার দাবিতে আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে ঠাকুরগাঁও সাধারণ পাঠাগার মাঠে আয়োজিত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, প্রায় এক মাস ধরে আমরা সারা দেশে আন্দোলন শুরু করেছি। অনেকেই বলছেন আন্দোলন দেন। আন্দোলন শুধু হরতাল-অবরোধ নয়। এই যে হাজার হাজার মানুষ চিৎকার করে বলছে, ‘‘খালেদা জিযার মুক্তি চাই’’, এটাও একটা শক্তিশালী আন্দোলন। আপনারা ফুটবল খেলা দেখেছেন। খেলা শুরুর আগে টিমগুলো ওয়ার্মআপ করে। এটা হচ্ছে সেই ওয়ার্মআপ।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘৩০ ডিসেম্বর আমরা ভোটাধিকার হরণ দিবস হিসেবে পালন করছি। ২০১৮ সালে ৩০ ডিসেম্বরের ভোট আগের রাতে হয়ে গিয়েছিল। ভোটের অধিকার, কথা বলার অধিকার ফিরে পেতে চাই। এই হাসিনা সরকারকে যদি আমরা সরাতে না পারি, তবে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভোমত্ব বিপন্ন হবে। এই সরকার বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। তাই যত দিন পর্যন্ত এই সরকারকে সরাতে না পারছি, তত দিন পর্যন্ত আমরা ঘরে ফিরে যাব না। আমাদের আন্দোলন চলবে, চলবে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমি যখন খালেদা জিয়াকে প্রথম নারী মুক্তিযোদ্ধা বললাম, তখন আওয়ামী লীগের লোকেরা ভীষণ বেজার হয়ে গেলেন। তারা বকাবকি শুরু করলেন। এমনকি একজন নামকরা মুক্তিযোদ্ধা বললেন, হায় আল্লাহ, তিনিও মুক্তিযোদ্ধা!’
বিএনপির মহাসচিব প্রশ্ন করেন, ‘তিনি মুক্তিযোদ্ধা হবেন না তো কে মুক্তিযোদ্ধা হবেন? যারা পাকিস্তানিদের কাছে আত্মসমর্পণ করেছিল আর ভারতে পালিয়ে গিয়েছিল, তারা মুক্তিযোদ্ধা হবে?’
ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপির সভাপতি তৈমুর রহমানের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মাহবুব উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হাবিব, সহসাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল খালেক, জাহাঙ্গীর আলম, বিএনপির সমাজকল্যাণবিষয়ক সম্পাদক ও মুন্সীগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ফরহাদ হোসেন প্রমুখ।