জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলায় নিজেদের বসতঘরে মেয়েসহ এক গৃহবধূর গলা কাটা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এঘটনায় নিহত নারীর ছেলে ও পুত্রবধূকে আটক করা হয়েছে।
শনিবার রাত ৮টার দিকে গোবিন্দপুর দারোয়ানপাড়ায় লোমহর্ষক ঘটনাটি ঘটেছে। গোবিন্দপুর গ্রামের মৃত আকমল চৌধুরীর স্ত্রী নিহত জয়ফল (৫৫) বেগম ও মেয়ে স্বপ্নার (৩২) গলা কাটা লাশ ও হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত বটি উদ্ধার করেছে মেলান্দহ থানা পুলিশ।
এ ঘটনায় নিহত জয়ফল বেগমের ছেলে জহুরুল (৪০) ও পুত্র বধু জেসমিন আক্তারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে।
নিহত জয়ফলের ভাই মানিক মিয়া জানায়, তার বোন জয়ফল বেগমর স্বামী আকমল চৌধুরীর মৃত্যুর পর তিন ছেলে ও দুই মেয়ে নিয়ে জয়ফুল একই বাড়িতে বসবাস করতেন। তার দুই ছেলে ওমান প্রবাসী। আটক জহুরুল সম্প্রতি দেশে ফিরেছেন। স্বপ্না আক্তার সাত বছর আগে স্বামীর সঙ্গে ছাড়াছাড়ির পর থেকে মার সঙ্গে থাকতেন।
নিহত জয়ফলের ভাই আরও জানান, প্রবাসী দুই ছেলে আজ (শনিবার) বিকালে আমাকে ফোন দেয় দুই দিন ধরে মাকে ফোন দিচ্ছি ফোন ধরছেনা এবং স্বপ্নাকেও ফোনে পাচ্ছিনা। বাড়িতে গিয়ে একটু খোঁজ নিন। পরে বাড়িতে এসে আমার বোন ও ভাগিনির রুম তালা মারা দেখতে পায়। অনেক ডাকাডাকির পর সন্দেহ হলে পুলিশে খবর দেই। পুলিশ এসে দরজা ভেঙ্গে নিজ রুমে জবাইকৃত জয়ফল বেগমের লাশ ও পাশের রুমে স্বপ্নার লাশ ও বটি উদ্ধার করে পুলিশ।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানায়, জয়ফল বেগম ও তার মেয়ে স্বপ্নার সাথে পারিবারিক কলহ ছিল ছেলে জহুরুল ও পুত্রবধু জেসমিনের সাথে। প্রায়ই ঝগড়া ফ্যাসাদ লেগেই থাকতো। গতকাল শুক্রবারও তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়।
মেলান্দহ থানার ওসি মাঈদুল ইসলাম বলেন, ঘটনাস্থল থেকে নিহত মা মেয়ের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের ছেলে জহুরুল ও তার স্ত্রী জেসমিন আক্তারকে আটক করা হয়েছে। নিহতদ্বয়ের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে। এ ঘটনার কারণ উদঘাটনে পুলিশি তদন্ত চলছে। তদন্তের পর হত্যাকান্ডের কারণ এবং কারা জড়িত বলতে পারবো বলে জানান ওসি।