সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে দক্ষিণ আফ্রিকার জয় ৭ উইকেটে। বৃষ্টির বাগড়ায় চতুর্থ দিনের প্রথম দুই সেশন ভেসে যাওয়ার পর শেষ সেশনে তারা ছুঁয়ে ফেলে ২৪০ রানের লক্ষ্য। তিন ম্যাচের সিরিজে এখন ১-১ সমতা।
এই মাঠে ছয়বারের চেষ্টায় এই প্রথম ভারতকে টেস্টে হারাতে পারল দক্ষিণ আফ্রিকা। আগের পাঁচ ম্যাচের দুটিতে জিতেছিল ভারত, বাকি তিনটি হয়েছিল ড্র।
ব্যাটিংয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার জয়ের নায়ক এলগারের সেঞ্চুরিটাই শুধু পাওয়া হয়নি। একটা পর্যায়ে পরিস্থিতি ছিল এমন- জয়ের জন্য দলের প্রয়োজন ১১ রান, তিন অঙ্ক ছুঁতে এলগারেরও তাই। শেষ পর্যন্ত তিনি অপরাজিত থাকেন ৯৬ রানে।
পাঁচ ঘণ্টার বেশি সময় ব্যাটিং করে, শরীরে বলের অনেক আঘাত সয়ে ১৮৮ বলে ১০ চারে গড়া এলগারের ইনিংসটি। ম্যাচের সেরাও তিনিই।
৮ উইকেট হাতে নিয়ে জয়ের জন্য বৃহস্পতিবার দক্ষিণ আফ্রিকার প্রয়োজন ছিল ১২২ রান। রাসি ফন ডার ডাসেনের উইকেট হারিয়ে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছে যায় তারা।
চা-বিরতির পর খেলা শুরু হলে মেঘলা আকাশের নিচে দেখেশুনে খেলে দলকে এগিয়ে নেন এলগার ও ফন ডার ডাসেন। আগের দিন ৪৬ রানে অপরাজিত এলগার ১৩০ বলে ফিফটি পূর্ণ করেন অফ স্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিনকে চার মেরে। জুটির রান ছাড়ায় পঞ্চাশ।
১১ রানে ব্যাটিং শুরু করা ফন ডার ডাসেনও এগিয়ে যাচ্ছিলেন ফিফটির দিকে। তবে মোহাম্মদ শামির দারুণ এক ডেলিভারিতে আউট হয়ে যান তিনি স্লিপে ক্যাচ দিয়ে। ৯২ বলে ৫ চারে করেন ৪০ রান। ভাঙে ৮২ রানের তৃতীয় উইকেট জুটি।
পাঁচ নম্বরে নামা টেম্বা বাভুমা ফিরতে পারতেন শূন্য রানে। তবে নিজের বলে ক্যাচ নিতে পারেননি পেসার শার্দুল ঠাকুর।
বাভুমাকে সঙ্গে নিয়েই অবিচ্ছিন্ন ৬৮ রানের জুটিতে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন এলগার। অশ্বিনকে চার মেরে ম্যাচের ইতি টানেন তিনিই।
যে মাঠে ভারত আগে কখনও জেতেনি, সেই সেঞ্চুরিয়নে প্রথম টেস্টে ১১৩ রানে জিতে দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথমবার সিরিজ জয়ের সম্ভাবনা উজ্জ্বল করেছিল তারা। জোহানেসবার্গে হেরে তা কিছুটা ফিকে হয়ে গেল।
কেপ টাউনে আগামী মঙ্গলবার শুরু হবে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টেস্ট।