নাঈমের টেস্ট একাদশে জায়গা পাওয়াও অনেকটা ভাগ্যের ছোঁয়াতেই। মাহমুদুল হাসান জয়ের দুর্ভাগ্যই মূলত সৌভাগ্য হয়ে আসে তার জন্য। আগের টেস্টে অসাধারণ ইনিংস খেলার পর চোটের কারণে মাঠের বাইরে যান মাহমুদুল। রোববার নাঈমকে টেস্ট ক্যাপ পরিয়ে দেন অধিনায়ক মুমিনুল হক।
গত মাসে পাকিস্তানের বিপক্ষে মিরপুর টেস্টের স্কোয়াডে প্রথমবার টেস্ট দলে ডাক পান নাঈম। তখন সেটি ছিল বড় এক চমক। ওই সময়ের আগ পর্যন্ত টেস্ট দলের ধারেকাছেও ছিলেন না তিনি।
২২ বছর বয়সী ব্যাটসম্যানের প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে অভিজ্ঞতা স্রেফ ৬ ম্যাচের। সেই ম্যাচগুলিতে পারফরম্যান্স তার ভালো কিছু নয় মোটেও। ফিফটি মোটে একটি, ব্যাটিং গড় ১৬.৬৩।
সবশেষ প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলেন তিনি সেই ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে। সেই ম্যাটে দুই ইনিংসেই আউট হয়েছিলেন শূন্য রানে।
সবশেষ প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলার পর এই লম্বা সময়ে দুটি বড় দৈর্ঘ্যের ম্যাচ তিনি খেলেছেন। একটি গত বছর সফরকারী জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দুই দিনের প্রস্তুতি ম্যাচ, যেটিতে আউট হন ১১ রানে। এরপর এই বছরের শুরুতে সফরকারী ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিন দিনের প্রস্তুতি ম্যাচ। সেটিতে প্রথম ইনিংসে করেন ৪৫, পরেরটিতে শূন্য।
প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন তখন বলেছিলেন, ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি দলের অংশ হয়ে অনেক দিন ধরেই সিস্টেমে থাকায় তাকে মূলত টেস্ট দলে নেওয়া হয়েছে।
পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের পর নিউ জিল্যান্ড সফরেও জায়গা পান তিনি। এবার ম্যাচ খেলার সুযোগও পেয়ে গেলেন। তাকে দলে নেওয়ার যৌক্তিকতা প্রমাণের তায় এবার তার।
বাংলাদেশ প্রথম টেস্ট খেলে ২০০০ সালে ভারতের বিপক্ষে। স্বাভাবিকভাবেই অভিষেক হয় ১১ জনের। পরের টেস্ট পরের বছরের এপ্রিলে জিম্বাবুয়ে সফরে, বুলাওয়ায়ো টেস্টে অভিষেক হয় চার জনের।
এরপর নতুনের আগমন হয়ে ওঠে দলের নিয়মিত ঘটনা। স্রেফ ১২৮ টেস্টেই ১০০ জন টেস্ট ক্রিকেটার পেয়ে গেল বাংলাদেশ।