অ্যাশেজের চতুর্থ টেস্টের দ্বিতীয় দিন সাইড স্ট্রেইনে চোট পান স্টোকস। পরে আর বোলিং করেননি তিনি। ব্যথা নিয়ে ব্যাটিং করে সিডনিতে দুই ইনিংসেই করেন ফিফটি। সিরিজে তিন ম্যাচ পর ইংলিশদের প্রথম হার এড়ানোর পথে রাখেন গুরুত্বপূর্ণ অবদান।
ওই ম্যাচের প্রথম ইনিংসে দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি উপহার দেন বেয়ারস্টো। ১১৩ রানের ইনিংসটি খেলার পথে আঙুলে বলের আঘাত পান তিনি। ব্যথা নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ১০৫ বলে করেন ৪১।
চলতি অ্যাশেজে প্রথম চার ম্যাচে কিপারের দায়িত্ব পালন করেন জস বাটলার। আঙুল ভেঙে যাওয়ায় তিনি ফিরে গেছেন ইংল্যান্ডে। বেয়ারস্টোও উইকেটের পেছনের দায়িত্ব পালনের অবস্থায় নেই। পঞ্চম ও শেষ টেস্টের কিপার কে হবেন, সেই ভাবনায় ইংল্যান্ড।
স্টোকস বোলিং করতে না পারলেও কেবল ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতে পারেন, আর বেয়ারস্টোও থাকতে পারেন আগের ভূমিকায়; বুধবার বললেন রুট।
“তাদের বর্তমান অবস্থা আমাদের দেখতে হবে। বুঝতে হবে, তাদের শরীর কতটুকু নিতে পারবে। এরপর সবাইকে মূল্যায়ন করা হবে।”
“বেনকে (স্টোকস) অবশ্যই কেবল ব্যাটসম্যান হিসেবে নেওয়া যায়, জনির (বেয়ারস্টো) ক্ষেত্রেও তাই-অবশ্য সে আগে থেকেই ব্যাটসম্যান হিসেবেই খেলছে।”
বাটলার ছিটকে পড়ায় হোবার্টে হতে যাওয়া দিবা-রাত্রির এই টেস্টে ইংল্যান্ড একাদশে একটি পরিবর্তন নিশ্চিত আসতে যাচ্ছে। এরই মধ্যে স্যাম বিলিংসকে দলে যোগ করেছে ইংল্যান্ড। বুধবার তাকে দেখা গেছে কিপিং অনুশীলন করতে।
৩০ বছর বয়সী এই কিপার-ব্যাটসম্যান টেস্ট অভিষেক হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে আছেন। রুটের বিশ্বাস, সুযোগ পেলে নিজের সবটুকু বিলিয়ে দেবেন বিলিংস।
“এখানকার কন্ডিশন সম্পর্কে তার ভালো জানা আছে। সব সময়ের মতো সে যখনই দলের সঙ্গে থাকে, অনেক শক্তি যোগায় এবং হাসতেই থাকে-সে তার ক্রিকেটকে অনেক ভালোবাসে। যদি সে সুযোগ পায়, নিজের সেরাটা উজার করে দিবে।”