সৃজনশীল কর্মযজ্ঞের মধ্য দিয়ে নিজেও হয়ে ওঠেছেন গুণী ব্যক্তিত্ব। নান্দনিক অভিনয় নৈপুণ্যে অর্জন করেছেন কোটি দর্শকের ভালোবাসা। তিনি অনন্য অভিনেত্রী শমী কায়সার। আজ ১৫ জানুয়ারি এই অভিনয়শিল্পীর জন্মদিন।
শমী কায়সারের জন্ম প্রখ্যাত লেখক শহীদুল্লাহ কায়সার ও পান্না কায়সার দম্পতির ঘরে। ১৯৮৯ সালে পরিচালক আতিকুল হক চৌধুরীর হাত দিয়ে টিভি অভিনয় শুরু করেন শমী। তার অভিনীত উল্লেখ্যযোগ্য নাটকগুলোর মধ্যে রয়েছে নক্ষত্রের রাত, ছোট ছোট ঢেউ, স্পর্শ, একজন, অরণ্য, আকাশে অনেক রাত, মুক্তি, অন্তরে নিরন্তরে, স্বপ্ন, ঠিকানা প্রভৃতি।
প্রয়াত চিত্রনায়ক সালমান শাহ’র অভিনয় জীবনের প্রথম নায়িকা শমী কায়সার। তারা দুজন বেশ কিছু খণ্ড নাটক ও ধারাবাহিকে কাজ করে জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন। দুজনের মধ্যে বন্ধুত্বটাও ছিলো বেশ দারুণ।
শমী কায়সার মঞ্চনাটকের সঙ্গে যুক্ত আছেন প্রায় দুই যুগ। ঢাকা থিয়েটারের নাট্যকর্মী হিসেবে বেশকিছু মঞ্চ নাটকে তিনি অভিনয় করেছেন। এর মধ্যে সেলিম আল দীন রচিত ‘হাতহদাই’ অন্যতম। চলচ্চিত্রে অভিনয় করেও শমী নজর কেড়েছেন। এর মধ্যে রয়েছে তানভীর মোকাম্মেল পরিচালিত লালন, চাষী নজরুল ইসলাম পরিচালিত হাছন রাজা।
১৯৯৭ সালে শমী কায়সার গড়ে তুলেন তার নিজস্ব প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ধানসিঁড়ি প্রোডাকশন। এই প্রতিষ্ঠানের প্রযোজনায় মুক্তি এবং অন্তরে নিরন্তরে নাটক নির্মিত হয়। ২০১৩ সালে নভেম্বরে তার প্রতিষ্ঠান ধানসিঁড়ি কমিউনিকেশন লিমিটেড রেডিও এ্যাক্টিভ নামে একটি বেতার কেন্দ্রের নিবন্ধনও পায়।
বর্তমানে অভিনয় থেকে দূরে রয়েছেন বলা যায়। বছরে দুই একটি বিশেষ টিভি নাটক বা টেলিছবিতে দেখা মিলে তার।
জন্মদিনের অনুভূতিতে তিনি বলেন, ‘মানুষ হিসেবে বেঁচে থাকার প্রতিটি দিনই সুন্দর। জন্মদিন এলে সেটা ঘটা করে টের পাওয়া যায়। চারপাশে ভালোবাসার বৃষ্টি নামে। আমার ভক্ত-দর্শক, বন্ধু, কাজের সহকর্মী ও সহযাত্রী, পরিবারের সদস্যদের কাছে আমি চিরকাল ভালোবাসার মানুষ হয়েই বাঁচতে চাই। সবার কাছে দোয়া চাই আল্লাহ যেন আমাকে সুস্থ রাখেন, ভালো রাখেন।’