সাউথ্যাম্পটনের মাঠে শনিবার আক্রমণ-প্রতি আক্রমণের জমজমাট লড়াই শেষ হয়েছে ১-১ সমতায়। দুটি গোলই করেন দুই ডিফেন্ডার।
গোল পোস্ট ও ক্রসবারে লেগে তিনটি চেষ্টা ব্যর্থ হয় সিটির। সাউথ্যাম্পটনেরও একটি সুযোগ নষ্ট হয় পোস্টে লেগে। এছাড়া বিপজ্জনক কয়েকটি প্রতি আক্রমণকে পূর্ণতা দিতে ব্যর্থ হয় দলটি।
৭৪ শতাংশ সময় বল দখলে রাখা সিটি গোলের জন্য নেয় ২০ শট, এর কেবল পাঁচটি ছিল লক্ষ্যে। আর সাউথ্যাম্পটন ৭ শটের তিনটি রাখতে পারে লক্ষ্যে।
ঘরের মাঠে সপ্তম মিনিটে এগিয়ে যায় সাউথ্যাম্পটন। চমৎকার প্রতি আক্রমণে ওরিয়ল রোমেউর কাছ থেকে বল পেয়ে নিখুঁত ফিনিশিংয়ে জাল খুঁজে নেন কাইল ওয়াকার-পিটার্স। প্রিমিয়ার লিগে এই ইংলিশ ডিফেন্ডারের এটাই প্রথম গোল।
পিছিয়ে পড়া সিটি মরিয়া হয়ে ওঠে গোলের জন্য। প্রতি আক্রমেণ ভীতি ছড়াতে থাকে সাউথ্যাম্পটনও। ২৩তম মিনিটে আবার সিটির জালে বল পাঠায় স্বাগতিকরা। কিন্তু আরমান্দো ব্রোহা অফসাইডে থাকায় গোল মেলেনি।
৩৫তম মিনিটে ডি বক্সের ভেতর থেকে রাহিম স্টার্লিংয়ের বাঁকানো শট ক্রসবার ঘেঁষে বেরিয়ে যায়। দুই মিনিট পর খুব কাছ থেকে তার শট পা দিয়ে কোনোমতে ঠেকিয়ে দেন সাউথ্যাম্পটন গোলরক্ষক, ফিরতি শটও ব্যর্থ করে দেন তিনি।
দ্বিতীয়ার্ধে ৪৭তম মিনিটে আরও পিছিয়ে পড়তে বসেছিল সিটি। ইয়ান বেডনারেকের হেড কোনোমতে ঠেকিয়ে দেন এদেরসন। তার ভাগ্য ভালো ফিরতি বল যায়নি সাউথ্যাম্পটেনর কারো কাছে।
৫৪তম মিনিটে একটুর জন্য বাড়েনি ব্যবধান। কর্নার থেকে ব্রোহার হেড ফেরে পোস্টে লেগে। খুব কাছ থেকে ফিরতি বলে শট লক্ষ্যে রাখতে পারেননি বেডনারেক।
৫৯তম মিনিটে বের্নার্দো সিলভার দূরপাল্লার শট ছুঁয়ে যায় ক্রসবার, সমতা ফেরানোর সুযোগ হাতছাড়া হয় সিটির। পাঁচ মিনিট পর দলকে সমতায় আনে লাপোর্ত। কেভিন ডে ব্রুইনের ফ্রি-কিকে ছুটে গিয়ে চমৎকার হেডে জাল খুঁজে নেন এই স্প্যানিশ ডিফেন্ডার।
৭০তম মিনিটে এগিয়েও যেতে পারত দলটি। কিন্তু ডি ব্রুইনের শট ব্যর্থ হয় পোস্টের বাইরের দিকে লেগে। দুই মিনিট পর গাব্রিয়েল জেসুসের হেডও বাধা পায় পোস্টে।
বাকি সময়ে সাউথ্যাম্পটনকে প্রবল চাপে রাখলেও আর জালের দেখা পায়নি সিটি। ২৩ ম্যাচে ৫৭ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষেই আছে দলটি। ১২ পয়েন্টে পিছিয়ে থেকে দুই নম্বরে থাকা লিভারপুল দুই ম্যাচ কম খেলেছে।
২২ ম্যাচে ২৫ পয়েন্ট নিয়ে ১২ নম্বরে আছে সাউথ্যাম্পটন।