আলিয়াঞ্জ অ্যারেনায় শনিবার লিগ ম্যাচটি ৩-২ গোলে জিতেছে বায়ার্ন। দুই দফায় সমতা টানার পর ইয়োশকো গভারদিওলের আত্মঘাতী গোলে হেরেছে লাইপজিগ।
দ্বাদশ মিনিটে রবের্ত লেভানদোভস্কির শট গোলরক্ষক ঝাঁপিয়ে ঠেকালেও দলকে বিপদমুক্ত করতে পানেননি। আলগা বল ফাঁকায় পেয়ে সহজেই জালে পাঠান টমাস মুলার। ২৭তম মিনিটে খুব কাছ থেকে স্কোরলাইন ১-১ করেন আন্দ্রে সিলভা।
খানিক পর আরও দুটি সুবর্ণ সুযোগ ভেস্তে যায় বায়ার্নের। কিংসলে কোমানের শট লাগে পোস্টে। আর মুলার বল জালে পাঠালেও তার আগে লেভানদোভস্কি প্রতিপক্ষের একজনকে ফাউল করায় মেলেনি গোল।
৪৪তম মিনিটে লেভানদোভস্কিই দলকে আবার এগিয়ে নেন। বাঁ দিক থেকে কোমানের ক্রসে হেডে আসরের ২৪তম গোলটি করেন এবারের লিগে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ গোলদাতা।
দ্বিতীয়ার্ধের অষ্টম মিনিটে দ্বিতীয় দফায় সমতায় ফেরে সফরকারীরা। সতীর্থের দারুণ থ্রু বল ধরে ডি-বক্সে ঢুকে নিচু শটে মানুয়েল নয়ারকে পরাস্ত করেন ফরাসি মিডফিল্ডার ক্রিস্টোফার এনকুকু।
তবে সমতায় ফেরার স্বস্তি ছয় মিনিট পরই উবে যায় তাদের। ডান দিক থেকে নিচু কোনাকুনি শট নেন সের্গে জিনাব্রি, ঠেকাতে পা বাড়ান ডিফেন্ডার গভারদিওল। তার পায়ে লেগে বল উঁচু হয়ে দূরের পোস্ট দিয়ে জালে জড়ায়। ঠেকানোর কোনো সুযোগই পাননি গোলরক্ষক।
বরুশিয়া মনশেনগ্লাডবাখের বিপক্ষে হেরে নতুন বছর শুরুর পর এই নিয়ে লিগে টানা তিন ম্যাচ জিতল বায়ার্ন। ২১ ম্যাচে ১৭ জয় ও এক ড্রয়ে ৫২ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে তারা।
এক ম্যাচ কম খেলা বরুশিয়া ডর্টমুন্ড ৪৩ পয়েন্ট নিয়ে আছে দুইয়ে।
গতবারের রানার্সআপ লাইপজিগ ২১ ম্যাচে ৩১ পয়েন্ট নিয়ে সপ্তম স্থানে আছে।