মিশরের অপেক্ষা বাড়িয়ে সেনেগালের প্রথম মিশরের অপেক্ষা বাড়িয়ে সেনেগালের প্রথম – Sabuj Bangla Tv
  1. shahinit.mail@gmail.com : admin :
  2. khandakarshahin@gmail.com : সবুজ বাংলা টিভি : সবুজ বাংলা টিভি
রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ০৩:০৮ অপরাহ্ন
নোটিশ-
বাংলাদেশের প্রথম অনলাইন টিভি চ্যানেল সবুজবাংলা টিভি এর জেলা/উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে...

মিশরের অপেক্ষা বাড়িয়ে সেনেগালের প্রথম

সবুজ বাংলা টিভি
  • প্রকাশ কাল | সোমবার, ৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২২
  • ১০৪ পাঠক

ক‍্যামেরুনের ওলেম্বে স্টেডিয়ামে রোববার রাতে নির্ধারিত সময়ের পর অতিরিক্ত ৩০ মিনিটও খেলা গোলশূন‍্য থাকলে ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে। সেখানে ৪-২ গোলে জিতে প্রথম শিরোপার উচ্ছ্বাসে ভাসে সেনেগাল।

আফ্রিকার রেকর্ড চ‍্যাম্পিয়ন মিশর তাদের সাত শিরোপার সবশেষটি জিতেছিল ২০১০ সালে। ২০১৭ আসরে ফাইনালে উঠলেও সেবার পারেনি দলটি।

২০০২ ও সবশেষ ২০১৯ আসরের রানার্সআপ সেনেগাল তৃতীয় চেষ্টায় পারল। ঘরে নিল আফ্রিকার ফুটবল শ্রেষ্ঠত্বের ট্রফি।

মহামারীকালে কঠিন এক অবস্থায় হয়েছে এবারের আফ্রিকান নেশন্স কাপ। সেখানে প্রাণবন্ত ফুটবল উপহার দিয়েছে সেনেগাল। আর মিশর যেন বারবার ম‍্যাচ টেনে নিতে চেয়েছে টাইব্রেকারে। নকআউট পর্বের শুরু থেকে তাদের টানা চার ম‍্যাচই গড়াল অতিরিক্ত সময়ে। এর তিনটির নিষ্পত্তি হলো টাইব্রেকারে।

আগের দুইবার গোলরক্ষকের বীরত্ব আর নিজেদের সবাই জালের দেখা পাওয়ায় জয়ের খুশিতে মাঠ ছাড়ে মিশর। এবার চোখের জলে বিদায় নিতে হলো মোহামেদ সালাহদের।

সাধ‍্যের সবটুকু দিয়ে চেষ্টা করেছিলেন গোলরক্ষক মোহামেদ আবু গাবাল। মূল ম‍্যাচে মানের স্পট কিক ঠেকানোর পর টাইব্রেকারে ফেরান বোনা সারের শট। সেনেগালের হয়ে কালিদু কলিবালি, আব্দু দিয়ালো, বাম্বা ও মানে জালের দেখা পান। বেশির ভাগ শটেই ঠিক দিকে ঝাঁপ দিয়েছিলেন মিশরের গোলরক্ষক।

জিজুর গোল দিয়ে শুরু হয় মিশরের স্পট কিক। এরপর মোহামেদ আব্দেলমোনেমের শট ব‍্যর্থ হয় বাঁদিকের পোস্টে লেগে। মারওয়ান হামদি গোল করার পর মোহামেদ লাশিনের শট ঠেকিয়ে দেন মঁদি।

এর আগে মূল ম‍্যাচে সপ্তম মিনিটেই এগিয়ে যেতে পারত সেনেগাল। কিন্তু সেমি-ফাইনালে টাইব্রেকারে দুই শট ঠেকিয়ে মিশরকে ফাইনালে নেওয়া গোলরক্ষক আবু গাবাল ঠেকিয়ে দেন মানের বুলেট গতির স্পট কিক।

তরুণ ডিফেন্ডার আব্দেলমোনেম ফরোয়ার্ড মানেকে ফাউল করায় পেনাল্টি পেয়েছিল সেনেগাল। লিভারপুলে দীর্ঘদিন একসঙ্গে খেলায় মোহামেদ সালাহ বেশ ভালো করেই জানেন মানেকে। তিনি শট নেওয়ার আগে গোলরক্ষককে পরামর্শ দিতে দেখা যায় মিশরের তারকা স্ট্রাইকারকে।

সালাহ এগিয়ে গিয়ে মানেকেও কিছু একটা বলেন। শেষ পর্যন্ত তিনি শট নেন জোরেই, কিন্তু গোলরক্ষকের থেকে যথেষ্ট দূরে রাখতে পারেননি। ঠিক দিকে ঝাঁপিয়ে ঠেকিয়ে দেন দেন আবু গাবাল, পোলিশ স্ত্রীর জন‍্য যিনি নিজের নাম বেছে নিয়েছেন গাবাস্কি।

১৯তম মিনিটে ইসমাইলা সারের নিচু ক্রসে চমৎকার স্লাইডে একটুর জন‍্য পা ছোঁয়াতে পারেননি মানে।

২৮তম মিনিটে সালাহর দারুণ কারিকুরিতে সুযোগ আসে মিশরের সামনে। তিনি কয়েকজনকে কাটিয়ে ডি-বক্সে ঢোকার কঠিন কাজটা করেন অনায়াসে। কিন্তু এরপর গোলরক্ষক বরাবর দুর্বল শট নিয়ে হতাশ করেন। প্রথমার্ধের বাকি সময়ে দুই দলই কিছু হাফ-চান্স তৈরি করেছিল, কিন্তু সফল হয়নি কেউই।

দ্বিতীয়ার্ধেও আক্রমণাত্মক শুরু করে সেনেগাল। ভীতি ছড়ায় মিশরের রক্ষণে। কিন্তু বেশিরভাগ সময়ই গোলরক্ষক বরাবর শট নিয়ে হতাশা বাড়ায় তারা।

বল দখলে পিছিয়ে না থাকলেও আক্রমণ গড়া ও সুযোগ তৈরি করায় বেশ পিছিয়ে ছিল মিশর। খেলার ধারার বিপরীতে ৭৪তম মিনিটে সুযোগ পেয়ে যান মারওয়ান হামদি। ডান দিক থেকে আসা ক্রসে সবার ওপরে লাফিয়ে তিনি হেড নেন ঠিকই, কিন্তু লক্ষ‍্যে রাখতে পারেননি।

অতিরিক্ত সময়ের প্রথম মিনিটেই এগিয়ে যেতে পারত সেনেগাল। বাঁ প্রান্ত দিয়ে ডি-বক্সে ঢুকে আড়াআড়ি শট নেন বাম্বা দাইয়েঙ্গ। ঝাঁপিয়ে কোনোমতে ঠেকিয়ে দেন আবু গাবাল। ১০২তম মিনিটে দূরের পোস্টে বাম্বার হেড কর্নারের বিনিময়ে ব‍্যর্থ করে দেন তিনি।

১১৬তম মিনিটে বাম্বার দূরপাল্লার শট আবার কর্নারের বিনিময়ে ফেরান আবু গাবাল। এদিন তিনি যেন ছিলেন চীনের প্রাচীর হয়ে। পরের মিনিটে অন‍্য প্রান্তে বুলেট গতির শট ক্রসবারের উপর দিয়ে পাঠান সেনেগালের গোলরক্ষক এদুয়াঁ মঁদি।

১২০ মিনিটে খুব বেশি পরীক্ষা দিতে না হলেও টাইব্রেকারে মঁদি ছড়ালেন আলো। খলনায়ক হতে হতে নায়ক হলেন মানে। শেষ হলো সেনেগালের অর্ধশতাব্দীর বেশি সময়ের অপেক্ষা।

আমাদের সংবাদটি শেয়ার করুন..

এ পাতার আরও খবর

Sabuj Bangla Tv © All rights reserved- 2011| Developed By

Theme Customized BY WooHostBD