গোলরক্ষক মঁদির স্বপ্নের এই অধ্যায়ে সবশেষ সাফল্যটা ধরা দেয় রোববার রাতে। জেতেন আফ্রিকান নেশন্স কাপের শিরোপা। ফাইনালে রেকর্ড সাতবারের চ্যাম্পিয়ন মিশরকে টাইব্রেকারে হারিয়ে প্রথমবারের মতো আফ্রিকার ফুটবল শ্রেষ্ঠত্বের ট্রফি জয়ের অনির্বচনীয় স্বাদ পায় তার দেশ সেনেগাল।
ম্যাচের শুরুতে পেনাল্টি মিস করে খলনায়ক হতে বসা সাদিও মানেই টাইব্রেকারে শেষ শটে গোল করে সব আলো কেড়ে নেন। তবে সেনেগালের এই সফল অভিযানে মঁদির অবদানকে খাটো করে দেখার উপায় নেই। পেনাল্টি শুট আউটে চেলসির এই গোলরক্ষক ঠেকিয়ে দেন মিশরের মোহামেদ লাশিনের শট। সেটিই মানেকে সুযোগ করে দেয় দলকে সিংহাসনে বসানোর।
লিভারপুল ফরোয়ার্ড মানে জিতেছেন টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার। মঁদি হয়েছেন টুর্নামেন্টের সেরা গোলরক্ষক। গত মাসেই তিনি জেতেন ২০২১ সালের ফিফা বর্ষসেরা গোলরক্ষকের পুরস্কার। অথচ আট বছর আগে তার জীবনেই নেমে এসেছিল ঘোর অন্ধকার।
বেকার থেকে স্বপ্নের পথে
মঁদির পেশাদার ফুটবল ক্যারিয়ারের শুরু হয় ফ্রান্স ফুটবলের চতুর্থ স্তরের দল শেরবোহের হয়ে। তিন বছরের চুক্তির মেয়াদ শেষে ২০১৪ সালে তাকে ছেড়ে দেয় ক্লাবটি। শুর হয় তার কঠিন সময়। একে তো কোনো ঠিকানা নেই, তারওপর তাকে এড়িয়ে যাচ্ছিল তার এজেন্টও। তার বার্তার উত্তর দেওয়াই বন্ধ করে দিয়েছিল ওই এজেন্ট।
কোনো ক্লাব তাকে নিচ্ছিল না। ‘ফ্রি এজেন্ট’ হিসেবে কাটান একটি বছর। জীবিকা থমকে গিয়েছিল। কোনো উপায় না পেয়ে এক বন্ধুর কাছ থেকে কাপড়ের দোকানে কাজ করার প্রস্তাব পেয়ে সেটি প্রায় গ্রহণও করে ফেলছিলেন তিনি।