আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে বুধবার বাংলাদেশের হয়ে রঙিন পোশাকে অভিষেক হয় ইয়াসিরের। ব্যাট হাতে পাঁচে নেমে খেলতে পারেন তিনি স্রেফ পাঁচ বল। ফজলকহক ফারুকির বলে বোল্ড হয়ে যান শূন্য রানে।
বাংলাদেশের হয়ে ওয়ানডে অভিষেকে শূন্য রানে আউট হওয়া ১৫তম ক্রিকেটার ইয়াসির। প্রথম এই তিক্ত স্বাদ পেয়েছিলেন যিনি, তিনিও চট্টগ্রামেরই ছেলে। ১৯৮৬ এশিয়া কাপে শ্রীলঙ্কার মোরাতুয়ায় পাকিস্তানের বিপক্ষে শূন্য রানে আউট হয়েছিলেন নুরুল আবেদীন নোবেল।
বাংলাদেশের এখনকার প্রধান নির্বাচক ও দেশের ইতিহাসের সেরা ব্যাটসম্যানদের একজন মিনহাজুল আবেদীনের ভাই এই নুরুল আবেদীন।
ওই ম্যাচটি ছিল বাংলাদেশের প্রথম ওয়ানডে। ওপেনিংয়ে নুরুলের পর তিনে নেমে অধিনায়ক গাজী আশরাফ হোসেনও আউট হন শূন্য রানে। পরে দুই পেসার জাহাঙ্গীর শাহ বাদশাহ ও সামীউর রহমানেরও একই অভিজ্ঞতা হয়। প্রথম ম্যাচেই শূন্যতে ফেরেন বাংলাদেশের চারজন।
সেই থেকে এখনও পর্যন্ত অভিষেকে শূন্য করাদের মধ্যে লোয়ার অর্ডাররা যেমন আছেন, তেমনি আছেন হারুনুর রশিদ, রফিকুর ইসলাম, মনিরুজ্জামান, ফজলে মাহমুদ রাব্বির মতো বিশেষজ্ঞ ব্যাটসম্যানরাও।
অভিষেকে পাঁচ নম্বরে নেমে ইয়াসিরের আগে শূন্য করেছেন কেবল একজন এবং তিনিও চট্টগ্রামের। ২০০৪ সালে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে এজবাস্টানে ১৩ বলে শূন্য করেন আফতাব আহমেদ।
ইয়াসিরের আগে সবশেষ অভিষেকে শূন্যতে ফেরেন শরিফুল ইসলাম, গত বছর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে।