গত বছর ওয়ানডে দলে ফেরার পর থেকে টানা সাত নম্বরেই ব্যাট করানো হচ্ছে আফিফকে। একটি ম্যাচে খেলানো হয়েছে আটেও। খুব দারুণ কিছু না হলেও কয়েকটি ইনিংসে এই পজিশনের দাবি মেটানোর খানিকটা ঝিলিক দেখা গেছে তার ব্যাটে।
যদিও সাত-আটের প্রথাগত ব্যাটসম্যান তিনি নন। ঘরোয়া ক্রিকেটে ব্যাট করেন টপ কিংবা মিডল অর্ডারে। বাংলাদেশের হয়ে অভিষেক ওয়ানডেতে নেমেছিলেন চারে। টি-টোয়েন্টি দলেও সবশেষ সিরিজে খেলেছেন চারে। বিপিএলে এবার নিয়মিত খেলেছেন তিনে। আগের বিপিএলে ওপেন করে দারুণ সাফল্যও পেয়েছেন।
বাংলাদেশ ওয়ানডে দলে আপাতত টপ অর্ডারে সুযোগ খুব একটা নেই। তবে পাঁচ নম্বর পজিশনে উপযুক্ত একজনকে খুঁজছে দল। সেই অনুসন্ধানের পালায় এবার আফগানিস্তান সিরিজের প্রথম ম্যাচে অভিষেক হয় ইয়াসির আলি চৌধুরির। প্রথম সুযোগে তিনি আউট হন শূন্য রানে। সেই ম্যাচেই সাতে নেমে আফিফ খেলেন বাংলাদেশের ওয়ানডে ইতিহাসের সেরা ইনিংসগুলোর একটি।
সাতে ব্যাটিংয়ে নামলেও আফিফকে এ দিন ক্রিজে যেতে হয় অষ্টম ওভারেই। ৫ উইকেট হারিয়ে তখন ধুঁকছে দল। একটু পর রান হয়ে যায় ৬ উইকেটে ৪৫। সেখান থেকেই বিপর্যয় সামাল দিয়ে ইনিংসের হাল ধরে দলকে জয়ের ঠিকানায় নিয়ে যান আফিফ। ঠিক যেন কোনো অভিজ্ঞ ও ঋদ্ধ একজন মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান!
আফিফ বার্তাটা দিয়েছেন ব্যাটিং দিয়ে, মিডল অর্ডারে একটি পজিশন ফাঁকাও আছে। তবে বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলনে কোচ ডমিঙ্গো বললেন, সাতে সফল হওয়া উপকরণও আফিফের মধ্যে তিনি দেখছেন।
“এখন নয় (ব্যাটিং ওপরে তোলা)… আমাদের কিপার (মুশফিক ও লিটন) যখন টপ অর্ডারে ব্যাট করছে, জেনুইন একজন স্পিনার (সাকিব) টপ অর্ডারে ব্যাট করছে… সাত নম্বরই তার (আফিফ) জন্য পারফেক্ট। যেভাবে সে খেলা শেষ করে, খুব ধীরস্থির থাকে সে। শেষ দিকের ব্যাটিংয়ের জন্য অনেক অপশন আছে তার।”
বাংলাদেশ কোচের মতে, পুরনো বল ভালো সামলাতে পারলেও নতুন বল সামলানোর মতো এখনও যথেষ্ট পোক্ত নন ২২ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার।
“নতুন বল সামলানোর জন্য এখনও অনেক কাজ তাকে করতে হবে। সে নিজেও তা জানে। তাকে ওপরে তুলে আনার কোনো তাড়া তাই আমার নেই। এই মুহূর্তে, তার খেলার ধরনের জন্য ওই পজিশনই পারফেক্টলি উপযুক্ত। নিকট ভবিষ্যতে তাকে ওপরে তোলার কোনো সম্ভাবনা নেই।”