মহানগর আওয়ামী লীগের শিল্প ও বানিজ্য বিষয়ক সম্পাদক নিরব হোসেন টুটুলের মা মমতাজ বেগমের জানাজা ও দাফন সম্পন্ন হয়েছে। বৃহস্পতিবার বাদ আসর নগরীর প্রধান ঈদগাহ মাঠে মরহুমার নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। পরে নগরীর মুসলিম গোরস্থানে দাফন করা হয়। জানাজার পূর্বে মরহুমার স্মৃতিচারন করে মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এ্যাড. একেএম জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, তিনি ছিলেন একজন মমতাময়ী মা। তিনি গরীব অসহায় মানুষদের খুব ভালবাসতেন। কোন মানুষ সাহায্যের জন্য গিয়ে তার দুয়ার থেকে খালি হাতে ফিরতে হয়নি। তিনি এতিম মিসকিনদের বেশি সাহায্য করতেন। আমরা একজন মহিয়সী মাকে হারালাম। তার জন্য সবাই দোয়া করবেন। সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ বলেন, তিনি শুধু টুটুলের না আমারও মা ছিলেন। সব সময় আমার খোজ খবর নিতেন। প্রায়ই ভাল মন্দ রান্না করে আমার জন্য পাঠিয়ে দিতেন। মেয়র আবেগ আপ্লুত হয়ে বলেন, কয়েক বছর আগে আমার একটি অপারেশন হয়েছিলো। তখন আমি বরিশালের বাসায় ছিলাম। আমার পরিবারের কেউ এখানে ছিলো না। মা (টুটুলের মা) আমার জন্য প্রতিদিন রান্না করে খাবার পাঠাতেন। আমার মায়ের মৃত্যুর পর তিনিই ছিলেন আমার মা। আজ তাকেও হারালাম। আপনারা তার জন্য দোয়া করবেন এবং তাকে মাফ করে দিবেন। জানাজা শেষে মরহুমার কফিনে সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ, বরিশাল মহানগর আওয়ামীলীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। আগামী ১৩ মার্চ বাদ আসর বরিশাল ক্লাব মিলনায়তনে মরহুমার রুহের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া মিলাদ হবে। সেখানে সকলকে উপস্থিত থাকার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে। এর আগে দুপুরের দিকে মরহুমার লাশ ভারত থেকে নগরীতে পৌছায়। খবর পেয়ে সেখানে বরিশাল জেলা ও মহানগর আওয়ামীলীগ ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনসহ বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ ছুটে যান। জানাজা নামাজে উপস্থিত ছিলেন বরিশাল সদর উপজেলা চেয়ারমান আলহাজ¦ সাইদুর রহমান রিন্টু, বিসিসির প্যানেল মেয়র গাজী নঈমুল হোসেন লিটু, জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারন সম্পাদক বিসিসি কাউন্সিলর এ্যাড. রফিকুল ইসলাম খোকন, কাউন্সিলর শেখ সাইদ আহমেদ মান্না, মহানগর আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক হাসান মাহমুদ বাবু, এ্যাড রফিকুল ইসলাম ঝন্টু, বিশিষ্ট ঠিকাদার মাহফুজ খানসহ দলের সর্ব স্তরের নেতাকর্মীসহ অন্তত কয়েক হাজার মানুষ। মঙ্গলবার দিবাগত রাত পৌনে ৩ টার দিকে তিনি ভারতের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরন করেন নিরব হোসেন টুটুলের মাতা মমতাজ বেগম। তিনি ক্যান্তারে আক্রান্ত হয়ে ৬ মাস ধরে ভারতের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।