খুলনায় মাহেন্দ্রচালক শেখ ওহিদুর রহমান রিপণ হত্যা মামলায় চারজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে খুলনা অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক এস এম আশিকুর রহমান এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন— কিশোরগঞ্জের ইব্রাহিম খলিলুল্লাহর ছেলে মোহাম্মদ নুর ইসলাম, একই এলাকার হরিদাসের ছেলে জনি দাস, চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ উপজেলার আব্দুর রউফ সিকদারের ছেলে মো. রনি শিকদার ও বটিয়াঘাটা উপজেলা আইয়ুব আলী মোল্লার ছেলে মোহাম্মদ মাসুদ রানা মোল্লা।
বর্তমানে তারা সবাই পলাতক রযেছেন।
নিহত মাহেন্দ্রচালক শেখ ওহিদুর রহমান রিপন সাতক্ষীরার লাবশা এলাকার শেখ তৌহিদুর রহমানের ছেলে।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী কাজী সাব্বির আহমেদ জানান, ২০১৬ সালে ১১ জানুয়ারি সকালে গাড়ি চালানোর উদ্দেশে বাড়ি থেকে বের হন রিপন। রাতে বাড়ি ফিরে না এলে পরিবারের লোকজন চিন্তিত হয়ে পড়েন। পরদিন তার ছোট ভাই জানতে পারেন লবণচরায় জমিতে একজনের লাশ পাওয়া গেছে। খবর পেয়ে তিনি খুলনায় গিয়ে ওহিদুর রহমানের লাশ শনাক্ত করেন। এ ঘটনায় গোপালগঞ্জের কাশিয়ানি থেকে মাহেন্দ্রসহ চারজনকে আটক করা হয়। পরে নিহত ওহিদুরের ভাই লবণচরা থানায় চারজনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন।
আদালত সূত্র জানায়, ঘটনার দিন সন্ধ্যা ৬টার দিকে আসামিরা পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী মাহেন্দ্র ছিনতাইয়ের লক্ষ্যে খুলনায় আসার জন্য ৭০০ টাকা ভাড়ার চুক্তিতে রওনা হন। রাত ৯টার দিকে লবণচরা থানাধীন ডা. দিপু সাহেবের জমির কাছে পৌঁছলে আসামি মাসুদ ও রনি রশি দিয়ে ড্রাইভারের শ্বাসরোধ করার চেষ্টা করেন। শ্বাসরোধে তার মৃত্যু না হলে নূর ইসলাম রিপনকে ছুরি দিয়ে আঘাত করতে থাকেন। মৃত্যু নিশ্চিত করে তাকে ফেলে আসামিরা মাহেন্দ্র নিয়ে পালিয়ে যান। পরে গোপালগঞ্জ এলাকার কাশিয়ানি পুলিশের চেকপোস্টে গিয়ে তারা ধরা পড়েন। এক পর্যায়ে তারা হত্যাকাণ্ডের কথা পুলিশের কাছে স্বীকার করেন।