কুমিল্লার বুড়িচংয়ে সাংবাদিক মহিউদ্দিন সরকার হত্যা মামলার প্রধান আসামি রাজু (৩৫) র্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছেন।
শনিবার (১৬ এপ্রিল) দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে সদর উপজেলার গোলাবাড়ি সীমান্তে এই ‘বন্দুকযুদ্ধে’র ঘটনা ঘটে।
নিহত রাজু জেলার আদর্শ সদর উপজেলার বিষ্ণপুর গ্রামের সাদেক মিয়ার ছেলে। তার বিরুদ্ধে অস্ত্র, মাদক, চোরাচালানের বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে বলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সূত্রে জানা গেছে।
র্যাব-১১ সিপিসি-২ এর কোম্পানি কমান্ডার মেজর মোহাম্মদ সাকিব হোসেন সময় সংবাদকে জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালাতে গেলে র্যাবের উপস্থিত টের পেয়ে রাজু তাদের লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এতে র্যাব সদস্যরাও বাধ্য হয়ে পাল্টা গুলি চালাতে থাকে। এক পর্যায় রাজু নিহত হন।
কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. মহিউদ্দিন জানান, তাকে নিহত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ১৩ এপ্রিল রাত ১০টার দিকে বুড়িচং উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের হায়দ্রাবাদ নগরে সাংবাদিক মহিউদ্দিন সরকার নাঈমকে গুলি করে হত্যা করা হয়। ওই ঘটনায় বৃহস্পতিবারে (১৪ এপ্রিল) রাতে নিহতের মা নাজমা আক্তার বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় প্রধান আসামি করা হয় রাজুকে।
নিহত মহিউদ্দিন একসময় সাংবাদিকতায় সক্রিয় ছিলেন। আনন্দ টিভির উপজেলা প্রতিনিধি ও স্থানীয় একটি দৈনিক পত্রিকায় কাজ করতেন। হঠাৎ সাংবাদিকতা ছেড়ে দিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সোর্স হিসেবে কাজ শুরু করেন। তিনি বিভিন্ন সময় ভারতীয় সীমান্তে মাদক চোরাচালানের গোপন তথ্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দিতেন। এ নিয়ে রাজুর সঙ্গে বিরোধে জড়িয়ে পড়েন মহিউদ্দিন।