আবার নতুন করে ঊর্ধ্বমুখী করোনা সংক্রমণের হার। প্রায় দু’বছর সারাবিশ্ব করোনার ভয়ে তটস্থ ছিল। তবে এখন প্রায় প্রত্যেকেই জেনে গিয়েছেন, একটু সতর্কতা আর সমস্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললে করোনাকে সহজেই ঠেকিয়ে রাখা যায়। করোনা নামক আতঙ্ক মনে পুষে রাখার কোনো প্রয়োজন নেই। তবে বর্ষা আসতেই তৈরি হয়েছে অন্য আরেক সমস্যা। ঘরে ঘরে দেখা দিয়েছে ফ্লুয়ের উপসর্গ। অনেকেই চিন্তায় পড়েছেন, কারণ উপসর্গের সঙ্গে করোনার উপসর্গের মিল রয়েছে। এক্ষেত্রে বুঝবেন কীভাবে কোনটা করোনা আর কোনটা ফ্লু?
দেখা দিচ্ছে নানান ধরনের ধন্দ।বিশেষজ্ঞদের মতে শুধু উপসর্গ দেখে যে কোন ভাইরাসের পৃথকীকরণ করা খুব একটা সোজা নয়। কারণ ডায়রিয়া, ঠান্ডা লাগা, গলা ফুলে যাওয়া, ত্বকে ফুসকুড়ি এই ধরনের উপসর্গ গুলি বহু ভাইরাসের ক্ষেত্রে দেখা যায়, আবার কোভিডের ক্ষেত্রেও দেখা যায়। সেক্ষেত্রে ফ্লু আর করোনার মধ্যে পার্থক্য করা অত্যন্ত কঠিন । তাই কোন ভাবনা চিন্তা না করে অবশ্যই পরীক্ষা করিয়ে নিতে হবে । কারণ লালা রস পরীক্ষা করলে খুব সহজেই বোঝা যায় কিন্তু কোন ভাইরাস দ্বারা সংক্রমিত হয়েছেন।
তাই সব থেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হল, কোন ভাইরাসে সংক্রমিত তা চিহ্নিত করা। যদি দেখেন সামান্য উপসর্গ দিনের পর দিন জটিল হয়ে পড়ছে তাহলে বিষয়টিকে গুরুত্ব দিন। অনেক ক্ষেত্রে আবার লালার রং পরিবর্তন হয়। অনেকেই আছেন যারা বাড়িতে অক্সিমিটার রেখে দেন। যদি দেখেন অক্সিজেনের মাত্রা কমে গেছে তাহলে অবশ্যই বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে। তাই উদাসীন বা উপেক্ষা করার কোন জায়গা নেই। চিকিৎসকদের সঠিক পরামর্শ পরিস্থিতি জটিল পর্যায়ে পৌঁছানোর আগে আপনাকে উদ্ধার করতে পারে।
আর অবশ্যই মনে রাখতে হবে, শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বহু ভাইরাসকে অনায়াসে কাবু করে ফেলতে পারে। তাই ফ্লু নাকি করোনা, এই নিয়ে বিভ্রান্তির মধ্যে পড়বেন না। সাধারণত এই মৌসুমে দেখবেন ফ্লুতে চারপাশের অনেকেই সংক্রমিত হয়েছেন। কখনো বা উপসর্গের তীব্রতা অনেক বেশি কিংবা আবার কখনো দু-একদিনের মধ্যে ঠিক হয়ে যায়।
তবে বিশেষভাবে নজর দিতে হবে শিশু এবং বয়স্কদের ক্ষেত্রে। যেহেতু করোনা এবং ফ্লু এই দুই সংক্রমণের উপসর্গের মধ্যে বহু মিল রয়েছে, তাই এক্ষেত্রে দুটির পার্থক্য বোঝার একটাই উপায় হল পরীক্ষা করা। যদি দেখেন দিনের পর দিন উপসর্গ আরো জটিল পর্যায়ে পৌঁছে যাচ্ছে কিংবা জ্বর কমছে না তাহলে তা কোভিড সংক্রমণ হতে পারে। অযথা আতঙ্কিত না হয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন, সতর্ক থাকুন। উপসর্গ গুরুতর হয়ে ওঠার আগেই অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।