রবল ঘূর্ণিঝড়ে মালাউই-এর বহু এলাকা লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে। বিধ্বস্ত হয়েছে ঘরবাড়ি এবং উপড়ে গেছে গাছপালা। এছাড়া ঘূর্ণিঝড় কবলিত এলাকায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) এক প্রতিবেদনে সিএনএন এ তথ্য জানিয়েছে।
মালাউইয়ের প্রাকৃতিক সম্পদ ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় মঙ্গলবার বলেছে যে, ঘূর্ণিঝড়টি দুর্বল হচ্ছে। তবে দক্ষিণ মালাউই জেলার বেশিরভাগ অংশে ঝড়ো হাওয়ার সঙ্গে প্রবল বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকবে।
মন্ত্রণালয় জানায়, ভারী বন্যা ও বাতাসের আশঙ্কা খুব বেশি রয়ে গেছে।
স্থানীয় সময় গত সোমবার (১৩ মার্চ) দেশটির দক্ষিণাঞ্চলে এই ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানে। প্রথমে মৃতের সংখ্যা ১০০ বলাে হলেও পড়ে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৯০ জনে।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনাবিষয়ক বিভাগের কমিশনার চার্লস কালেম্বা মঙ্গলবার সিএনএনকে বলেছেন, দক্ষিণ মালাউইতে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে।
তিনি বলেন, পরিস্থিতি অনেক খারাপ। অনেক জায়গা বন্যায় প্লাবিত হয়েছে। অনেক রাস্তা ও সেতু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে অনেক এলাকা। একইসঙ্গে বন্ধ হয়ে গেছে মোবাইল পরিষেবা। এটা আরও ভয়ানক হয়ে উঠছে।
কালেম্বা বলেন, খারাপ আবহাওয়ার কারণে উদ্ধার অভিযানও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
তিনি যোগ করেন, উদ্ধার অভিযানে আমাদের ভারি যন্ত্রপাতি ব্যবহার করতে হবে। কিন্তু সেগুলো বৃষ্টির কারণে যেতে পারছে না।
জাতিসংঘের আবহাওয়াবিষয়ক সংস্থা জানিয়েছে, ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে উত্তর-পশ্চিম অস্ট্রেলিয়া থেকে ফ্রেডির উৎপত্তি হয়। এটি রেকর্ডে সবচেয়ে দীর্ঘস্থায়ী গ্রীষ্মমন্ডলীয় ঘূর্ণিঝড় বলে মনে করা হচ্ছে। পুরো দক্ষিণ ভারত মহাসাগর অতিক্রম করে এই ঝড়। ২৪ ফেব্রুয়ারি মোজাম্বিকে পৌঁছানোর আগে ২১ ফেব্রুয়ারি মাদাগাস্কারে তাণ্ডব চালায় এই ঘূর্ণিঝড়।
জাতিসংঘ বলছে, এই ঝড়ে ১১ হাজারেরও বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা বলছে, ঘূর্ণিঝড় ফ্রেডি দক্ষিণ ভারত মহাসাগরে প্রায় ৩৪ দিন ধরে ঘোরাফেরা করেছে।