হাসান মাহমুদের দুর্দান্ত বোলিংয়ের পর ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে আয়ারল্যান্ড। পাওয়ার প্লের ভেতরই ৪ উইকেট হারিয়ে ব্যাটিং বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয়।
সেখান থেকে কিছুটা ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করে সফরকারীরা। কিন্তু খুব বেশি দূর এগোতে পারেনি এই জুটি। এবাদত হোসেনের জোড়া আঘাতের পর আবারও ধুঁকছে তারা। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত আইরিশদের সংগ্রহ ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ৭৫ রান। কার্টিস ক্যামফার ২৩ ও অ্যান্ডি ম্যাকব্রাইন শূন্য রানে ব্যাট করছেন।
১৯ তম ওভারের শেষ দুই বলে লরকান টাকার ও জর্জ ডকরেলকে সাজঘরের পথ দেখান এবাদত। প্রথমে টাকারকে (২৮) এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলে ভাঙেন ৪২ রানের জুটি। পরের বলে কেবলই ব্যাট করতে আসা জর্জ ডকরেলের (০) স্টাম্প উপড়ে ফেলেন ডানহাতি এই পেসার।
সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় আয়ারল্যান্ড। সফরকারীদের প্রথম তিন ব্যাটারকে একাই শিকার করেন হাসান। শুরুটা করেন স্টেফেন দোহানিকে দিয়ে। দলীয় ১২ রানে এই ওপেনারকে সাজঘরের পথ দেখান তিনি। ইনিংসের পঞ্চম ওভারে তার লেংথ ডেলিভারিতে খোঁচা মেরে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন দোহানি। মুশফিকুর রহিম সহজ ক্যাচ নিতে কোনো ভুল করেননি। তাই ব্যক্তিগত ৮ রানে সাজঘরে ফেরেন দোহানি।
নবম ওভারের প্রথম বলে আবারও আঘাত হানেন হাসান। এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন পল স্টার্লিংকে (৭)। আবেদনে সাড়া দিয়ে আউটের আঙুল তোলেন আম্পায়ার। একই ওভারে হ্যারি টেক্টরকে এলবিডব্লিউ করেন হাসান। যদিও প্রথমে সাড়া দেননি আম্পায়ার। তবে রিভিউ নিয়ে সফল হয় বাংলাদেশ। তাই কোনো রান না করেই সাজঘরে ফিরতে হয় টেক্টরকে।
পাওয়ার প্লে শেষ হওয়ার আগে আইরিশ অধিনায়ক অ্যান্ডি বালবার্নিকে তুলে নেন তাসকিন আহমেদ। তার অফ স্টাম্পের বাইরের বলে কাভার ড্রাইভ করতে চেয়েছিলেন বালবার্নি। কিন্তু বল মাটিতে গড়ানোর আগে সোজা চলে যায় স্লিপে থাকা নাজমুল হোসেন শান্তর হাতে। ৬ রানে ফেরেন বালবার্নি।