নড়াইলে বিভিন্ন বিদ্যালয় থেকে চুরি হওয়া ৩৯টি সরকারি ল্যাপটপসহ বিপুল পরিমাণ চোরাইকৃত মালামাল উদ্ধার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। এসময় চোরচক্রের ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়।
বুধবার (২২ শে মার্চ) জেলা গোয়েন্দা পুলিশ বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে চুরি হয়ে যাওয়া সেসব মালামাল উদ্ধার করেন। এবং চোরচক্রের ৪ সদস্যদের গ্রেফতার করা হয়।
এরআগে একটি মোবাইল ফোন সিমের সূত্র ধরে গত ২১ মার্চ নড়াইল পৌর এলাকার ভওয়াখালী থেকে ওই চোরচক্রের দুজনকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতাররা হলেন- গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর থানার বাটিকাবাড়ি গ্রামের তৈয়ব আলী শেখেরে ছেলে শহিদুল ইসলাম (৩০), টেংরাখোলা গ্রামের সোহাগ সরদারের ছেলে রিজু সরদার (১৮), ধোপাকান্দা গ্রামের মৃত মতি মোল্যার ছেলে সোবহান মোল্যা (৩৮), গোপীনাথপুর গ্রামের মজিবর রহমান মোল্যার ছেলে মতিউর রহমান রাসেল (৩৫), উজানিয়া গ্রামের কুদ্দুস মোল্যার ছেলে আরমান মোল্যা (২০) ও মাগুরা জেলার সদর থানার বাটাজোড় গ্রামের মৃত শিবপদ দাসের ছেলে নেপাল দাস (৩০)।
জিজ্ঞাসাবাদে তারা সবাই চুরির কথা স্বীকার করেন।
উদ্ধার হওয়া মালামালের মধ্যে রয়েছে – ৩৯ টি ল্যাপটপ, ১৪টি ল্যাপটপের চার্জার, ৭২টি সিলিং ও স্ট্যান ফ্যান, ৪টি প্রজেক্টর, ৩টি প্রিন্টার, ১টি স্ক্যানার, ১৬টি মিনি সাউন্ড বক্স, ২টি কম্পিউটার বক্স, ৩টি কিবোর্ড এবং ২টি মাউস।
চুরি হওয়া ৩৯ ল্যাপটপ
বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) দুপুরে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এসব কথা জানান জেলা পুলিশ সুপার সাদিরা খাতুন।
তিনি জানান, গত ২৬ জানুয়ারি স্বরসতী পূজার দিন স্কুল বন্ধ থাকায় নড়াইলের লোহাগড়া থানার নলদী ইউনিয়নের বিএসএস মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাবের গ্রিল কেটে সরকারের আইসটি বিভাগ থেকে দেওয়া ১৭টি ল্যাপটপ ও ১৫টি চার্জার চুরি হয়ে যায়। এঘটনায় প্রধান শিক্ষক বাদী হয়ে লোহাগড়া থানায় মামলা দায়ের করেন।
অপরদিকে, গত ১৬ মার্চ সদরের তুলারামপুর মালিডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে ১টি ল্যাপটপ, ১টি প্রজেক্টর, ১টি প্রিন্টার, ১টি সাউন্ড বক্স, ১২টি বিআরবি সিলিং ফ্যান, ফিঙ্গার প্রিন্টার চুরি হয়।
পরদিন (১৭ মার্চ) সদরের চাকই পশ্চিমপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে ২টি ল্যাপটপ, ১টি প্রজেক্টর ও নগদ ১০ হাজার টাকা এবং একই দিনে সদরের হবখালি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে ১২টি বিআরবি সিলিং ফ্যান চুরি যায়।
এসব চুরির ঘটনায় সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকরা বাদী হয়ে নড়াইল সদর থানায় দায়ের করেন।
পরবর্তীতে জেলা পুলিশের সকল বিভাগের তৎপরতায় চোরচক্রটিকে ধরা হয় এবং চুরি হওয়া সব মালামাল উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ সুপার মোছা. সাদিরা খাতুনের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার দোলন মিয়া, সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওবায়দুর রহমান, জেলা গোয়েন্দা শাখার ওসি সাজেদুল ইসলাম, জেলা পুলিশের পদস্থ কর্মকর্তা, বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদকর্মী ও সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।