টোকিওর বাংলাদেশ দূতাবাস মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন করেছে। রোববার ( ২৬ মার্চ) দূতাবাসে অনুষ্ঠানের শুরুতে দূতাবাস প্রাঙ্গণে দূতাবাসের কর্মকর্তা–কর্মচারীদের সঙ্গে নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শাহাবুদ্দিন আহমদ।
এরপর জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের সঙ্গে সঙ্গে রাষ্ট্রদূত কর্তৃক জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের শহিদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। পরে দূতাবাসের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধুসহ ১৫ই আগষ্ট ১৯৭৫ শাহাদত বরণকারী তাঁর পরিবারের সদস্যদের ও মহান মুক্তিযুদ্ধের সব শহিদের আত্মার মাগফিরাত ও শান্তি কামনা এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আগামী দিনগুলোতে বাংলাদেশের আরও সমৃদ্ধি ও উন্নতি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
পরে দিবসটি উপলক্ষে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী প্রদত্ত বাণী পাঠ করা হয়। আলোচনা পর্বের শুরুতে রাষ্টদূত দিবসটির তাৎপর্য ও গুরু্ত্ব উল্লেখপূর্বক বক্তব্য উপস্থাপন করেন। পরবর্তীতে দূতাবাসের অন্যান্য কর্মকর্তারা আলোচনায় অংশ নেন। এসময় তারা জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে অনুপ্রাণিত হয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘ভিশন-২০৪১’ বাস্তবায়ন করে বাংলাদেশকে একটি উন্নত ও সমৃদ্ধশালী রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তোলার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
এছাড়া মহান স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে জাপানের স্থানীয় শীর্ষ দৈনিকে ইংরেজি ও জাপানিজ ভাষায় বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করা হয়েছে। দিবসটি পালনের অংশ হিসেবে আগামীকাল ২৭ মার্চ সন্ধ্যায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতি বিজড়িত টোকিওর নিউ ওতানি হোটেলে এক সংবর্ধনা, ইফতার ও নৈশ ভোজের আয়োজন করা হয়েছে। জাপানের মন্ত্রীসভার সদস্যরা, সংসদ সদস্য, টোকিওস্হ বিভিন্ন দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত ও প্রতিনিধিরা, জাপানের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সংস্থার উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী, শিক্ষাবিদ, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, সাংবাদিক, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি এবং জাপান প্রবাসী উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বাংলাদেশি নাগরিক এই অনুষ্ঠানে যোগ দেন।