রোববার (২৮ মে) স্থানীয় সময় সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়। বিকেল ৫টা পর্যন্ত চলবে ভোটগ্রহণ। সন্ধ্যার আগেই ফল স্পষ্ট হতে শুরু করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। রয়টার্স।
প্রথম দফার ভোটে ৬৯ বছর বয়সী এরদোয়ান তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কামাল কিলিচদারোগলু থেকে এগিয়ে ছিলেন। গেল ১৪ মে প্রথম দফার ভোটে অল্পের জন্য ঝুলে যায় এরদোয়ানের ভাগ্য।
তুরস্কে প্রেসিডেন্ট হতে হলে ভোটে এককভাবে ৫০ শতাংশ ভোট পেতে হয়। তবে এরদোয়ান পেয়েছিলেন পেয়েছিলেন ৪৯ দশমিক ৫২ শতাংশ ভোট। আর কামাল পেয়েছিলেন ৪৪ দশমিক ৮৮ শতাংশ ভোট।
জীবনযাত্রার বেড়ে যাওয়া ব্যয়ের এই কঠিন পরিস্থিতিতেও ভোটে এরদোয়ানের ছিল শক্ত অবস্থান। পার্লামেন্টারি নির্বাচনে তার দল জিতেছে। তার জোটের অন্যান্য দলের প্রবীণরা তাকে ভোট দেওয়ার কথা বলছেন।
এই নির্বাচন তুরস্কের পাশাপাশি ন্যাটোভুক্ত ৮৫ মিলিয়ন লোকের দেশটির নেতৃত্বই শুধু ঠিক করে দেবে না, পাশাপাশি এটিও ঠিক করে দেবে যে, দেশটি কীভাবে চলবে।
তুরস্কের অর্থনীতি কঠিন চাপে রয়েছে। গত এক দশকের মধ্যে ডলারের বিপরীতে দেশটির মুদ্রার মূল্য দশমাংশে নেমে গেছে। একইসঙ্গে রাশিয়া ও অন্যান্য উপসাগরীয় দেশের সঙ্গে তুরস্কের সম্পর্ক উন্নয়নের কারণে পশ্চিমারা কিছুটা বিরক্ত।
কুর্দি জনগণের শহর দিয়ারবাকিরের ফারুক গেসেজেল নামে এক বাসিন্দা বলেন, তিনি এরদোয়ানকে ভোট দিয়েছেন। এর আগেও তিনি এরদোয়ানকে ভোট দিয়েছিলেন।
তিনি বলেন, তুরস্কের ভবিষ্যতের জন্য প্রেসিডেন্ট ও পার্লামেন্ট গুরুত্বপূর্ণ, যেখানে তিনিই সংখ্যাগরিষ্ঠ, একই ছাদের নিচে তারা কাজ একসঙ্গে কাজ করবেন। স্থিতিশীলতার জন্যই আমি এরদোয়ানকে ভোট দিয়েছি।
৩৪ বছর বয়সী গৃহবধূ কানান তিনস বলেন, তিনি কিলিচদারোগলুকে ভোট দিয়েছেন। গেল নির্বাচনে এই শহরে প্রায় ৭২ শতাংশ ভোট পেয়েছিলেন তিনি।
কানান তিনস বলেন, যথেষ্ট হয়েছে। অর্থনৈতিক সংকট ও সমস্যা এড়াতে পরিবর্তন দরকার। আমি কিলিচদারোগলুকেই আবার ভোট দিয়েছি। আমরা আশাবাদী এবং সংকল্পবদ্ধ।
বিদ্রোহী ছয়টি দলের জোটের প্রার্থী ৭৪ বছর বয়সী কিলিচদারোগলু। কামাল আতাতুর্কের প্রতিষ্ঠিত রিপাবলিকান পিপলস পার্টিরও (সিএইচপি) নেতৃত্বে রয়েছেন তিনি।
প্রথম দফার ভোটে তৃতীয় স্থানে থাকা সিনান ওগান পেয়েছিলেন ৫ দশমিক ২০ ভাগ ভোট। গত ২২ মে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে দ্বিতীয় দফা ভোটে এরদোয়ানকে সমর্থন করার কথা জানিয়েছেন তিনি।