নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার রাজগঞ্জ ইউনিয়নের ব্যবসায়ী দুলাল চন্দ্র দাস (৫৫) হত্যা মামলার প্রধান আসামি বাদশা (২৮) গণপিটুনিতে মারা গেছেন।
রোববার (২৫ জুন) রাত সাড়ে ৯টার দিকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
এর আগে শনিবার (২৪ জুন) সকালে গণপিটুনির শিকার হন তিনি।
নিহত বাদশা উপজেলার রাজগঞ্জ ইউনিয়নের টঙ্গীরপাড় গ্রামের কামাল হোসেনের ছেলে।
বেগমগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহেদুল হক রনি জানান, মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, দুলাল চন্দ্র দাস হত্যাকাণ্ডের পর পলাতক বাদশা শনিবার (২৫ জুন) ভোরে তার বাড়িতে আসেন। পরে সকালে বাড়ি থেকে বের হয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয়রা তাকে ধরে গণপিটুনি দেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে আহত অবস্থায় বাদশাকে উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার রাতে তার মৃত্যু হয়।
এর আগে গত ১০ জুন সকালে স্থানীয়দের তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ বেগমগঞ্জ উপজেলার রাজগঞ্জ ইউনিয়নের টঙ্গীর পাড় গ্রাম থেকে মাছ ব্যবসায়ী দুলাল চন্দ্র দাসের গলা কাটা মরদেহ উদ্ধার করে। নিহত দুলাল চন্দ্র দাসের বাড়ি একই গ্রামে।