রাত পোহালেই মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদ-উল-আজহা। এই উৎসবের আনন্দ ভাগাভাগি করতে নাড়ির টানে রাতেও রাজধানী ছেড়ে বাড়ি ফিরছেন মানুষজন।
বুধবার (২৮ জুন) সন্ধ্যায় রাজধানীর মহাখালী বাস টার্মিনাল এলাকা ঘুরে চিত্রই দেখা গেছে।
মহাখালী বাস টার্মিনাল এলাকা সংলগ্ন ফুটপাতে কথা হয় দুলাল হোসেন নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, রাজশাহী যাব। রাতে টার্মিনাল থেকে বাস ছাড়বে। ছুটি খুবই কম। ঈদের পরদিনই ফিরতে হবে। তবুও পরিবারের সঙ্গে ঈদ করতে পারব, এটাই আনন্দের।
শুধু ঈদ যাত্রা নয়, একটু বাড়তি সময় পেলেই পরিবার-পরিজনের জন্য কেনাকাটাও করছেন অনেকে। টার্মিনাল এলাকায় কথা হয় গার্মেন্টস কর্মী রহিমা বেগমের সঙ্গে। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, আমার বাড়ি রংপুর। রাত ৮টায় বাস। বাড়িতে স্বামী ও দুইটা বাচ্চা আছে। ওদের জন্য কিছু পোশাক কিনলাম। আমরা কম আয়ের মানুষ। ফুটপাতই ভরসা।
মহাখালী বাস টার্মিনালের এনা পরিবহনের বুকিং সহকারী মোশাররফ হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, ঈদ উপলক্ষে যাত্রীদের চাপ আছে। সেজন্য আমরা বিভিন্ন রুটে কোচও বাড়িয়েছি। উত্তরবঙ্গ রুটে যানজটের ছাড়া মোটামুটি কম ঝক্কিতেই যাত্রীরা ফিরতে পারছেন।
ঈদের আগে যাতায়াতে নানা দুর্ভোগ থেকেই যায়। ভাড়া থেকে শুরু করে পৌঁছানোর আগে পর্যন্ত বিভিন্ন সমস্যায় পড়েন ঘরমুখো যাত্রীরা। তবে, অতিরিক্ত ভাড়া নিয়ন্ত্রণে রাখতে মাঠে বিআরটিসির ম্যাজিস্ট্রেটদের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হচ্ছে।