উত্তরা থেকে মতিঝিলের এমআরটি লাইন-৬ উদ্বোধনের দিনে আরও একটি চমক অপেক্ষা করছে দেশবাসীর জন্য। শনিবার (৪ নভেম্বর) একইসঙ্গে এমআরটি লাইন-৫ হেমায়েতপুর-ভাটারা রুটের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ঢাকার যোগাযোগ ব্যবস্থায় যুগান্তকারী পরিবর্তন এনে মেট্রোরেলের সুবিধায় সব প্রান্তকে সংযুক্ত করতে পরিকল্পনা নিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এমআরটি লাইন-৫ এর প্রাথমিক বিস্তৃতি হবে হেমায়েতপুর থেকে ভাটারা হয়ে গাবতলী, মিরপুর-১০, গুলশান।
শনিবার (৪ নভেম্বর) দুপুর ২টার দিকে এ অংশের নির্মাণকাজের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। এর আগে আগারগাঁও স্টেশনে আগারগাঁও-মতিঝিল অংশের মেট্রোরেল চলাচলের উদ্বোধন করবেন তিনি।
উদ্বোধন শেষে মেট্রোরেলে চড়ে তিনি মতিঝিল আসবেন। সেখানে মতিঝিলের আরামবাগে আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় বক্তব্য দেবেন।
ভূমি উন্নয়নে শুরু হেমায়েতপুর-ভাটারা লাইনের কাজ
সাভারের হেমায়েতপুরে ডিপোর মাটি ও ভূমি উন্নয়নের জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ও জনবল সংগ্রহ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন এমআরটি লাইন-৫ প্রকল্পের পরিচালক আফতাব হোসেন খান।
এক হাজার ১৮৯ কোটি টাকার একটি চুক্তির অধীনে জাপানের টিএও করপোরেশন ও বাংলাদেশের স্পেকট্রা ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেডের যৌথ উদ্যোগের এ প্রকল্পের কাজ উদ্বোধনের পর ডিপোর জন্য ৯৯.২৫ একর জমির উন্নয়নকাজ শুরু হবে।
১৩.৫ কিলোমিটার ভূগর্ভস্থ অংশ ও ৬.৫ কিলোমিটার এলিভেটেড অংশ নিয়ে ২০ কিলোমিটার দীর্ঘ এ প্রকল্প ২০১৯ সালে অনুমোদন পায়। ২০ কিলোমিটারের মধ্যে নির্মাণ করা হবে ১৪টি স্টেশন। এর মধ্যে নয়টি হবে আন্ডারগ্রাউন্ডে।
২০২৮ সালের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ করার লক্ষ্য ডিএমটিসিএলের। এ রুটের মেট্রোরেলে প্রতিদিন প্রায় ১.২৩ মিলিয়ন মানুষ যাতায়াত করতে পারবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন সিদ্দিক বলেন, প্রধানমন্ত্রী এমআরটি লাইন-৫ (উত্তর রুট) নির্মাণকাজেরও উদ্বোধন করবেন। এ লাইন হেমায়েতপুর থেকে ভাটারা হয়ে গাবতলী, মিরপুর-১০, গুলশান পর্যন্ত ২০ কিলোমিটার হবে। ৪১ হাজার ২৩৯ কোটি টাকার এ প্রকল্পের কাজ শেষ হবে ২০২৮ সালে।