নরসিংদীর রায়পুরায় বিয়ের প্রলোভনে এক তরুণীকে (২২) ধর্ষণের অভিযোগে ইমন মিয়া (২৮) নামের এক পুলিশ কনস্টেবলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ সোমবার বিকালে নরসিংদী আমলী আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
এর আগে রবিবার দিবাগত রাত ১ টার দিকে ইমনকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসা হয়। এ ঘটনায় আজ সোমবার সকালে ভুক্তভোগী নারী (২২) থানায় লিখিত অভিযোগ করেন এবং অভিযোগটি মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত ইমন রায়পুরা উপজেলার বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর নগর গ্রামের মাহে আলমের ছেলে। সে কিশোরগঞ্জ জেলার অষ্টগ্রাম থানায় পুলিশ সদস্য হিসেবে কর্মরত ছিলেন ।
পুলিশ ও অভিযোগ সূত্রে জানা যায় , প্রায় ১৮ মাস পূর্বে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাদের পরিচয় হয় এবং এক পর্যায়ে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। পরে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ভৈরব এলাকার বিভিন্ন আবাসিক হোটেলে একাধিকার ধর্ষণ করে। পরবর্তীতে চট্টগ্রামে বেড়ানোর কথা বলে পুণরায় ধর্ষণ করা হয়। রোববার ওই তরুণীর বাসায় এসে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। এসময় বিয়ের প্রস্তাব দিলে অস্বীকার করে এবং তার সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়।
এক পর্যায়ে এলাকাবাসী জড়ো হয়ে তাকে আটক করে থানায় খবর দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তাকে আটক করে। সোমবার সকালে ভুক্তভোগী তরুণী ধর্ষণের অভিযোগ এনে থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।
রায়পুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাফায়েত হোসেন পলাশ সাংবাদিকদের জানান, ভুক্তভোগী নারীর বাড়ি থেকে অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য ইমনকে আটক করে পুলিশ থানায় নিয়ে আসে। সোমবার আমলী আদালতে তোলা হলে প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসান তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। ভুক্তভোগীর মেডিকেল পরীক্ষার রিপোর্ট পাওয়ার পর ধর্ষণের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে।