যৌন হয়রানির অভিযোগে ময়মনসিংহ জেলা পরিবার পরিকল্পনা (প.প) কার্যালয়ের উপপরিচালক কাজী মাহফুজুল করিমের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়েছে। এ নিয়ে কানাঘুষা ও আলোচনা-সমালোচনায় প্রতিষ্ঠানটির ভেতরে-বাইরে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।
তবে অভিযোগের ঘটনা নিয়েও ধুম্রজাল রয়েছে বলে দাবি করেছেন পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের একাধিক কর্মকর্তা ও কর্মচারী।
সূত্র জানায়, ভালুকা উপজেলার পরিবার পরিকল্পনা সহকারী সালেহা পারভীন বিউটি প্রতিষ্ঠানটির জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক কাজী মাহফুজুল করিম কর্তৃক যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন মর্মে অধিদপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এ ঘটনায় পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর গত বছরের ২৩ জানুয়ারি এ যৌন হয়রানির অভিযোগ তদন্তে দুই সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে। এ ঘটনার ঠিক এক বছর পর চলতি বছরের ১০ মার্চ ওই যৌন হয়রানির অভিযোগ তদন্তে সরেজমিনে আসেন কমিটির দুই সদস্য।
তবে এখন পর্যন্ত (২৭ মার্চ) তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল হয়নি বা কবে নাগাদ প্রতিবেদন দেওয়া হবে, তাও জানা নেই বলে জানিয়েছেন জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের উপপরিচালক কাজী মাহফুজুল করিম।
তিনি বাংলানিউজকে বলেন, শুনেছি আমার বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ দায়ের হয়েছে। কিন্তু এই অভিযোগের কোনো কপি আমাকে দেওয়া হয়নি। তবে গত ১০ মার্চ তদন্ত কমিটির পক্ষ থেকে আমাকে অভিযোগটি পড়ে শুনানো হয়েছে।
এ সময় এই কর্মকর্তা আরও বলেন, বিগত পাঁচ বছরের অধিক সময় ধরে আমি পারকিনসন রোগে (স্নায়ু-অধঃপতনজনিত রোগ) আক্রান্ত। অন্যদের সাহায্য নিয়ে আমাকে চলাফেরা ও ওঠা-বসা করতে হয়। তারপরও আমি নিয়মিত অফিস করি। এ অবস্থায় আমার বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট। হয়ত কোনো কারণে আমার প্রতি অসন্তুষ্ট বা ক্ষুব্ধ হয়ে এই অভিযোগ করা হয়েছে বা করানো হয়েছে।
জানতে চাইলে অভিযোগকারী সালেহা পারভীন বিউটি বাংলানিউজের কাছে বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে বলেন, আমি কোনো অভিযোগ করিনি, কোনো তদন্ত বিষয়েও আমার জানা নেই। এটা আমার অফিসিয়াল বিষয়, এটা নিয়ে আমি কথা বলতে চাই না।
এ বিষয়ে তদন্ত কর্মকর্তা ও পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের পরিচালক (ঢাকা বিভাগীয়) মো. মাহাবুব আলম বাংলানিউজকে বলেন, তদন্ত চলমান আছে, এ নিয়ে মন্তব্য করার সুযোগ নেই। বিস্তারিত তদন্ত প্রতিবেদনে জানানো হবে।