পরকীয়ার জেরে প্রবাসীকে হত্যা, স্ত্রীসহ চারজনের ফাঁসি পরকীয়ার জেরে প্রবাসীকে হত্যা, স্ত্রীসহ চারজনের ফাঁসি – Sabuj Bangla Tv
  1. shahinit.mail@gmail.com : admin :
  2. khandakarshahin@gmail.com : সবুজ বাংলা টিভি : সবুজ বাংলা টিভি
শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:৫২ অপরাহ্ন
নোটিশ-
বাংলাদেশের প্রথম অনলাইন টিভি চ্যানেল সবুজবাংলা টিভি এর জেলা/উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে...

পরকীয়ার জেরে প্রবাসীকে হত্যা, স্ত্রীসহ চারজনের ফাঁসি

সবুজ বাংলা টিভি
  • প্রকাশ কাল | শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪
  • ১৯ পাঠক

কুমিল্লার হোমনায় পরকীয়ার জের ধরে সৌদি প্রবাসী মো. আবদুল জলিলকে হত্যার দায়ে স্ত্রী শাহনেওয়াজ বেগমসহ চারজনকে মৃত্যুদণ্ড এবং একজনকে খালাস দিয়েছেন কুমিল্লার আদালত।

বুধবার (২৭ মার্চ) কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ চতুর্থ আদালতের বিচারক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন এ রায় দেন।

 

 

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন-কুমিল্লার হোমনা উপজেলার কারার কান্দি গ্রামের মৃত ইউসুফ মিয়ার ছেলে মো. আব্দুল কুদ্দুস মিয়া (৩২), একই উপজেলার মঙ্গলকান্দি গ্রামের মানিক মিয়ার ছেলে মাইক্রোবাসের চালক আবদুল খালেক (২৮), একই উপজেলার কারার কান্দি গ্রামের মৃত সাধন মিয়ার ছেলে মো. রাজিব (২৬) এবং নিহতের স্ত্রী শাহনেওয়াজ বেগম। তারা সবাই পলাতক।

বেকসুর খালাস পাওয়া আসামি হলেন হোমনা উপজেলার গোয়ারী ভাঙ্গা গ্রামের মৃত আক্কাস আলীর ছেলে মো. শাহজাহান (৪২)। তিনি হোমনা কাঁচা বাজারে পাইপ, ফিল্টার, টিউবওয়েলের ব্যবসা করতেন। রায়ের সময় শুধু তিনিই আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন।

মামলার বিবরণে জানা যায়, মো. শাহজাহানের সঙ্গে প্রবাসী আবদুল জলিলের (৪৫) স্ত্রী শাহনেওয়াজ বেগমের পরকীয়ার সম্পর্ক ছিল। এর জের ধরে আসামিরা মিলে সৌদি প্রবাসী মো. আবদুল জলিলকে চিকিৎসার করানোর কথা বলে ঢাকায় নিয়ে যান। ২০১৩ সালের ৯ জুন থেকে ১০ জুনের মধ্যে কোনো এক সময় হোমনা উপজেলার বাহেরখোলা গ্রামের কেরার মাজার সংলগ্ন স্থানে নিয়ে তাকে গলা কেটে হত্যা করা হয়। আবদুল জলিল হোমনা উপজেলার চেৎপুর গ্রামের মৃত সুলতান মিয়ার ছেলে। পরে পুলিশ মরদেহ উদ্ধারের পর তার ছোট ভাই তাইজুল ইসলাম (৩৫) বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে হোমনা থানায় হত্যা মামলা করেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা হোমনা থানার সেই সময়ের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. আব্দুল আলীর তদন্তে এ হত্যায় স্ত্রীসহ পাঁচজনের জড়িত থাকার বিষয়টি ধরা পড়ে। এরপর তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ২০১৩ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর পাঁচজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। পরে আসামি রাজিব, শাহনেওয়াজ ও আবদুল খালেক আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। এ জবানবন্দি পর্যালোচনা করে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় স্ত্রীসহ চারজনকে মৃত্যুদণ্ড দেন আদালত। আর অভিযোগ প্রমাণ না হওয়ায় খালাস দেওয়া হয় শাহজাহানকে।

এ রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি অ্যাডভোকেট মো. আবু ইউসুফ বলেন, আশা করছি, উচ্চ আদালত এ রায় বহাল রেখে দ্রুত বাস্তবায়ন করবেন।

অপরদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী মো. আ. হ. ম. তাইফুর আলম বলেন, রায়ের কপি হাতে পেলে উচ্চ আদালতে আপিল করব।

আমাদের সংবাদটি শেয়ার করুন..

এ পাতার আরও খবর

Sabuj Bangla Tv © All rights reserved- 2011| Developed By

Theme Customized BY WooHostBD