ইসরায়েল লক্ষ্য করে চালানো ইরানের হামলার পরিপ্রেক্ষিতে জেরুজালেমে স্থানীয় সময় শনিবার দিবাগত রাত ১টা ৪৫ মিনিটের দিকে বেজে ওঠে সাইরেন।
বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা শহরের আকাশে ইরানের ড্রোন-ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করার কাজ শুরু করে।
ইরানি বেশ কয়েকটি ড্রোন-ক্ষেপণাস্ত্র আটকে দেওয়ায় রাতের আকাশে আলোর ঝলকানি দেখা যায়। পাশাপাশি বিস্ফোরণের শব্দও পাওয়া যায়।
যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, ইসরায়েলের দিকে ছোড়া কিছু ইরানি ড্রোন তারা ভূপাতিত করেছে। মার্কিন দুই কর্মকর্তা সিবিএসকে বলেছেন। তবে এর বেশি কিছু জানা যায়নি। কোথায়, কীভাবে এসব ড্রোন ভূপাতিত করা হয়েছে, সেই তথ্যও জানা যায়নি।
ইরানের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা ইরনা বলছে, তেহরান ইসরায়েলের দিকে প্রথম দফায় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে। সেদেশের কেন্দ্রের দিকে থাকা লক্ষ্যবস্তুতে হামলায় এসব ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়েছে।
ইসরায়েলের দিক থেকে এ নিয়ে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে, যদি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়ে থাকে তবে এটি হবে ইরানের ব্যাপক ও তীব্র আক্রমণ।
ইয়েমেনে ইরানপন্থী হুতি বিদ্রোহীরাও ইসরায়েল লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে বলে জানা গেছে।
ইসরায়েলি আর্মি রেডিওর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শতাধিক ড্রোন ইসরায়েলের বাইরে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের সহায়তায় আটকে দেওয়া হয়েছে।
আরেক প্রতিবেদনে রয়টার্স জানায়, মার্কিন সামরিক বাহিনী ইসরায়েলের দিকে আসতে থাকা ইরানি ড্রোন ভূপাতিত করেছে। তিন মার্কিন কর্মকর্তাকে এই প্রতিবেদনে উদ্ধৃত করা হয়েছে। তবে ঠিক কোথায় কতগুলো ড্রোন আটকে দেওয়া হয়েছে, তা জানা যায়নি।
ইসরায়েল প্রতিরক্ষা বাহিনী আইডিএফ বলছে, বেসামরিক নাগরিকরা বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পারেন।
এটি আরও বলছে, বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা পুরোদমে কাজ করছে। এই মুহূর্তে অনেক উড়োজাহাজ আকাশে রয়েছে। আমরা হুমকি মোকাবিলায় প্রস্তুত। আপনারা বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পারেন।