সম্প্রতি দেশব্যাপী শুরু হওয়া উপজেলা পরিষদসহ স্থানীয় সব নির্বাচন বর্জনের দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করলে বিএনপি থেকে চিরতরে বহিষ্কার করা হবে। সে যে পর্যায়ের নেতাই হোক, তাকে আর কোনোভাবে দলে স্থান দেওয়া হবে না এমন মন্তব্য করে সতর্ক বার্তা দিয়েছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা।
রংপুর বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল খালেক ও সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম শনিবার (২৭ এপ্রিল) দুপুরে নীলফামারীর সৈয়দপুরে রাজনৈতিক জেলা বিএনপির আয়োজনে খালেদা জিয়ার মুক্তি ও সব নির্বাচন বর্জনের দাবিতে লিফলেট বিতরণ উপলক্ষে সভায় এ কথা বলেছেন।
এদিন বেলা ১১টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত সৈয়দপুর রাজনৈতিক জেলা বিএনপি অফিসে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ওই দুই কেন্দ্রীয় নেতা এমন হুঁশিয়ারি ব্যক্ত করেন।
তারা বলেন, অতীতের মতো ছাড় দেওয়ার আর কোনো সুযোগ নেই। তাই যারা প্রার্থী হয়েছেন তারা অচিরেই হাই কমান্ডের নির্দেশনা মেনে নিয়ে ফিরে আসেন। নয়তো একুল-ওকুল সব হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে যাবেন। দোগলামী বাদ দিয়ে কর্তৃত্ববাদী বাকশালী সরকারের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত আন্দোলনে সক্রিয় হোন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সৈয়দপুর জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল গফুর সরকার। সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক শাহীন আকতার শাহীন। বক্তব্য দেন- সহ-সভাপতি শফিকুল ইসলাম জনি, প্রভাষক শওকত হায়াত শাহ, সামসুল আলম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এরশাদ হোসেন পাপ্পু, কোষাধ্যক্ষ আবিদ হোসেন লাড্ডান, ওলামা দলের সভাপতি ক্বারী মকসুদ আলম, উপজেলা সভাপতি রেজাউল করিম লোকমান, সাধারণ সম্পাদক কামরুল হাসান কার্জন, পৌর সাধারণ সম্পাদক শেখ বাবলু, মহিলাদলের নেত্রী রুপাসহ অন্য অন্য নেতারা।
সভায় সৈয়দপুর জেলা, উপজেলা, পৌর এবং কিশোরগঞ্জ উপজেলা বিএনপিসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা উপস্থিত ছিলেন। আলোচনা শেষে শহরের প্রধান সড়ক শহীদ ডা. জিকরুল হক সড়ক ও জহুরুল হক সড়কে দোকানদার, পথচারী ও যানবাহন চালকদের মধ্যে লিফলেট বিতরণ করেন। এ সময় তারা জনগণকে এ সরকার ও তাদের আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশনের অধীনে সব নির্বাচন বর্জনের আহ্বান জানান।
সভায় সৈয়দপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন জমা দেওয়া জেলা বিএনপির সহ-সাধারণ সম্পাদক-৪ আরফান সরকার রানার প্রসঙ্গ উঠলে উপস্থিত স্থানীয় নেতারা মিশ্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। অনেকেই রানার পক্ষ অবলম্বন করে নির্বাচন করার যৌক্তিকতা তুলে ধরেন। এতে দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়েন স্থানীয় শীর্ষ নেতারা। এমতাবস্থায় কেন্দ্রীয় নেতারা পরিস্থিতি সামাল দিতে হাই কমান্ডের নির্দেশ মেনে চলার পরামর্শ দেন এবং রানার প্রার্থিতা প্রত্যাহারের আহ্বান জানান। নয়তো অবশ্যই বহিষ্কার করা হবে বলে স্পষ্ট জানিয়ে দেন।