জালিয়াতির মাধ্যমে সিটি ব্যাংক ও এর গ্রাহকদের কাছ থেকে ২ কোটি ৫০ লাখ হাতিয়ে নেওয়ার দায়ে সিটি ব্যাংকের এসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট (এভিপি) ও কার্ড ডিভিশনের প্রধান মুসাব্বির রহিমকে পৃথক চার ধারায় ২৬ বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (২৯ এপ্রিল) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক সৈয়দ আরাফাত হোসেন এ রায় দেন।
তাকে দুই ধারায় সাত বছর করে ১৪ বছর কারাদণ্ডের পাশাপাশি ২০ হাজার টাকা করে ৪০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও ৬ মাস করে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আরেক ধারায় ১০ বছরের কারাদণ্ডের পাশাপাশি তাকে এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে তাকে আরও এক বছর কারাদণ্ড দেন আদালত। অন্য এক ধারায় দুই বছরের কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। সব সাজা একত্রে চলবে বলে রায়ে উল্লেখ করেন আদালত। এক্ষেত্রে তাকে সর্বোচ্চ সাজা হিসেবে ১০ বছর কারাভোগ করতে হবে।
সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী বেলাল হোসেন রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
আসামি মুসাব্বির রহিম জামিনে থাকলেও আজ অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে তার পক্ষে আইনজীবী সময় আবেদন করেন। আদালত সময় আবেদন নামঞ্জুর করে রায় দেন। একইসঙ্গে জামিন বাতিল করে তার বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানাসহ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
২০১৫ সালের ২৫ নভেম্বর থেকে ২০১৬ সালের ২৪ এপ্রিল পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে জালিয়াতির মাধ্যমে সিটি ব্যাংক ও এর গ্রাহকদের কাছ থেকে ২ কোটি ৫০ লাখ টাকার অধিক হাতিয়ে নেন। এ অভিযোগে ২০১৬ সালের ১৮ অগাস্ট প্রধান কার্যালয়ের লিগ্যাল ডিভিশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট এ.কে.এম. আইয়ুব উল্যাহ বনানী থানায় মামলা করেন।
মামলাটি তদন্ত করে ২০১৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর দুদকের সহকারী পরিচালক মনিরুল ইসলাম আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
২০১৯ সালের ২৫ আগস্ট মুসাব্বির রহিমের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। মামলার বিচার চলাকালে আদালত ২১ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৭ জনের সাক্ষ্য নেন।