চীন থেকে আমদানি লাগেজ ভ্যান পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য দেশের বৃহত্তম সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানায় আনা হয়েছে। ৫০টি লাগেজ ভ্যানের মধ্যে ২৮টি লাগেজ ইতিমধ্যে রেলের ট্রাফিক বিভাগের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
বাকিগুলো দ্রুত হস্তান্তর করা হবে বলে সূত্র জানিয়েছে।
সূত্র জানায়, কৃষি পণ্য পরিবহনের জন্য এসব লাগেজ ভ্যান সুদূর চীন থেকে আমদানি করা হয়। ৫০টি লাগেজ ভ্যানের কাজ অর্থাৎ পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানায়। পরীক্ষা ও যন্ত্রাংশ সংযোজনের (কমিশনিং) কাজ চলছে। এসব ভ্যান মালামাল পরিবহনের জন্য পশ্চিমাঞ্চলের আন্তঃনগর ট্রেনে (যাত্রীবাহী ট্রেনে) একটি করে সংযুক্ত হবে।
সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার ক্যারেজ সপের প্রধান ইনচার্জ মোমিনুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, চীন থেকে আমদানি করা লাগেজ ভ্যানের মধ্যে সাধারণ ও শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত দু’ধরনের কোচ রয়েছে। কোচগুলো কারখানায় আনার পর সেগুলোতে প্রথমে কমিশনিং, স্ট্যাটিক টেস্ট ও ডায়নামিক টেস্টের পর ট্রাফিক বিভাগকে হস্তান্তর করা হয়।
সূত্রে জানা যায়, কৃষিজাত পণ্য পরিবহন থেকে শুরু করে যাত্রীসেবার মান বৃদ্ধি, বিশেষ সুবিধাদি প্রদান ও রাজস্ব আয় বাড়ানোর লক্ষ্যে চীন থেকে এসব লাগেজ ভ্যান আমদানি করা হয়। এর মধ্য ২০২৩ সালের ২ ডিসেম্বর প্রথম দফায় ১০টি পরে আরও চার দফায় মোট ৫০টি লাগেজ ভ্যান রেলওয়ে কারখানায় আনা হয় পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য। চীনা প্রকৌশলীরা কারখানার শ্রমিক-কর্মচারীদের সঙ্গে নিয়ে লাগেজ ভ্যানের কোচগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছেন। মালামাল পরিবহনের জন্য লাগেজ ভ্যানগুলো বেশ আধুনিক।
সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার কার্য ব্যবস্থাপক (ডাব্লিউ এম) শেখ হাসানুজ্জামান বলেন, সৈয়দপুর কারখানায় আসা ৫০টির মধ্যে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে ২৮টি লাগেজ ভ্যান চলাচলের উপযোগী করে রেলের ট্রাফিক বিভাগের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। বিশেষ করে এ অঞ্চলের কৃষিজাত পরিবহনের জন্য এসব লাগেজ ভ্যানগুলো আমদানি করা হয়েছে। এগুলো যাত্রীবাহী ট্রেনে যুক্ত করা হলে মালামাল পরিবহন যাত্রীদের সুবিধা হবে।