ফরিদপুরে সরকারি জায়গায় শৌচাগার নির্মাণে আ. লীগ নেতার বাধা ফরিদপুরে সরকারি জায়গায় শৌচাগার নির্মাণে আ. লীগ নেতার বাধা – Sabuj Bangla Tv
  1. shahinit.mail@gmail.com : admin :
  2. khandakarshahin@gmail.com : সবুজ বাংলা টিভি : সবুজ বাংলা টিভি
  3. wpapitest@config.com : wpapitest :
সোমবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:১৫ অপরাহ্ন
নোটিশ-
বাংলাদেশের প্রথম অনলাইন টিভি চ্যানেল সবুজবাংলা টিভি এর জেলা/উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে...

ফরিদপুরে সরকারি জায়গায় শৌচাগার নির্মাণে আ. লীগ নেতার বাধা

সবুজ বাংলা টিভি
  • প্রকাশ কাল | শুক্রবার, ১ নভেম্বর, ২০২৪
  • ৩৯ পাঠক

ফরিদপুরের সদরপুরে একটি বাজারের খাস জায়গায় সরকারি শৌচাগার (টয়লেট) নির্মাণে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে সামসুল বেপারি নামের এক আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে।

উপজেলার চরবিষ্ণুপুর ইউনিয়নের জয়বাংলা বাজারে নির্মাণিধীন ওই শৌচাগার নির্মাণের সময় বাধা দেন তিনি।

সামসুল বেপারি আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফর উল্লাহর ঘনিষ্ঠজন বলে জানা গেছে। এছাড়া সে জয়বাংলা বাজার কমিটির সহ-সভাপতিও।

 

স্থানীয়রা জানান, প্রতি সোমবার ও বৃহস্পতিবার জয়বাংলা বাজারে হাট বসে। যে হাটে আশপাশের কয়েক হাজার লোকের সমাগম ঘটে। কিন্তু, ওই বাজারে কোনো শৌচাগার নেই। তাইতো প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিলে সবাইকে পড়তে হয় বিড়ম্বনায়।

এদিকে, বাজারের খোলা খাস জায়গায় সরকারি টয়লেট নির্মাণে বাধা দেওয়ায় প্রতিকার চেয়ে ফরিদপুর জেলা প্রশাসক (ডিসি) বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ওই বাজারের অর্ধশতাধিক সাধারণ দোকানদার।

জেলা প্রশাসক বরাবর দেওয়া অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, তারা চরবিষ্ণুপুর ইউনিয়নের জয়বাংলা বাজারের দোকানদার। ওই বাজারে সরকারি অনুদানে টয়লেট নির্মাণে ৪২ লাখ টাকা বরাদ্দ হয় এবং টেন্ডার অনুযায়ী যথাসময়ে খাস জায়গায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ শুরু করে, কিন্তু খাস জায়গার পাশে জায়গার মালিক সামসুল  বেপারিসহ তার অনুসারীরা কাজ করতে বাধার সৃষ্টি করলে তারা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে আবেদন করেন। অতঃপর ইউএনও এসে তড়িঘড়ি করে খাস জমি ৭ ফিট কমিয়ে ফেললে টয়লেটের নির্মাণের স্থান পরিবর্তন এবং টয়লেটের ডিজাইন পরিবর্তন করে কাজ করার নির্দেশ দেন। তবে, ঠিকাদার উপজেলা প্রকৌশলী অফিসে যোগাযোগ করে জানান ওই ডিজাইনে কাজ করা সম্ভব নয়। সেটা ইউএনওকে জানান তিনি।

অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়, নির্মাণাধীন টয়লেটের খাস জায়গার কিছু অংশে দুটি ঘরের বারান্দা নির্মাণ করা হয়েছে। যে ঘর ওই বাজার কমিটির সহ-সভাপতি ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা সামসুল বেপারি তার প্রভাব বিস্তার করে নির্মাণ করেছেন বলে বাজারের সাধারণ দোকানদারদের দাবি।

তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন জয়বাংলা বাজার কমিটির সহ-সভাপতি সামসুল বেপারি। সে নিজেকে আওয়ামী লীগ নেতা নন বলে জানান। তিনি দাবি করেন, তিনি এখন বিএনপির রাজনীতি করেন।

তিনি আরও বলেন, আমি আমার ব্যক্তিগত জায়গায় দোকান নির্মাণ করেছি। আমি কোনো সরকারি খাস জমি দখল করিনি। এছাড়া টয়লেট নির্মাণেও কোনো বাধা দেইনি। এসব আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ।

এ ব্যাপারে শৌচাগার নির্মাণকারী ঠিকাদার সুজন দত্ত বাজারের একাধিক ব্যবসায়ীর বরাত দিয়ে জানান, ওই বাজারের কয়েকজন ব্যবসায়ী ও দোকানদার জানিয়েছেন সামসুল বেপারি সরকারি খাস জমি দখল করে দোকানের কিছু অংশ ও সরকারি টয়লেটেরও কিছু অংশ দখল করে নিয়েছেন। তাই জায়গা সংকুলানে স্ট্রাকচারের ডিজাইন জটিলতা হওয়ায় কাজ বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়েছি। আমার ৬ লাখ টাকার মালামাল নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। আমি ক্ষতিগ্রস্ত।

এ ব্যাপারে সদরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আল মামুন বলেন, একটি অভিযোগের প্রেক্ষিতে সার্ভেয়ার নিয়ে আমি ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করি। সেখানে জমি মাপার পর টয়লেট নির্মাণের জায়গা কিছুটা কমে আসে। তবে সামসুল বেপারি সরকারি জায়গা দখল করে দোকানঘর নির্মাণ করার বিষয়টি পুরোপুরি ঠিক নয়। কারণ, টয়লেট নির্মাণের জায়গা সার্ভেয়ার দিয়ে মাপা হয়েছে। তারপর খাস জায়গা কম থাকায় ঠিকাদারকে এল আকৃতির টয়লেট নির্মাণ করার নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু, ঠিকাদার এভাবে কাজ করা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন। তারপর আমি উপজেলা প্রকৌশলীর সঙ্গে কথা বলেছি। একইসঙ্গে বিকল্প স্থানে টয়লেট নির্মাণ করা যায় কি-না সেটা বলা হয়েছে। অতি শিগগিরই এ ব্যাপার সমাধান করা হবে।

এ ব্যাপারে বক্তব্য জানতে ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ কামরুল হাসান মোল্যার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

আমাদের সংবাদটি শেয়ার করুন..

এ পাতার আরও খবর

দেশের শীর্ষস্থানীয় টেলিযোগাযোগ অবকাঠামোগত সেবাদাতা সংস্থা ইডটকো বাংলাদেশ ও শীর্ষস্থানীয় টেলিযোগাযোগ সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান গ্রামীণফোন একটি বহু-বছর মেয়াদী লিজিং সম্প্রসারণ চুক্তি সই করেছে। চুক্তি অনুযায়ী, দেশজুড়ে ডিজিটাল সংযোগের উন্নয়নে প্রতিষ্ঠান দুটির কৌশলগত অংশীদারিত্ব আরও জোরদার করা হবে। গ্রামীণফোনের নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ প্রচেষ্টাকে ত্বরান্বিত করার পাশাপাশি এই অংশীদারিত্ব ইডটকোর দেশব্যাপী সংযোগ উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে সহায়ক হবে। একই সঙ্গে, এটি বাংলাদেশের ডিজিটাল রূপান্তর লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে। সম্প্রতি, বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় অবস্থিত গ্রামীণফোনের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত উভয় পক্ষ এই অংশীদারিত্ব সম্প্রসারণ চুক্তি সই করে। অনুষ্ঠানে দেশের সামগ্রিক অগ্রগতিতে টেলিযোগাযোগ খাতের সহযোগিতার গুরুত্ব তুলে ধরা হয়। উন্নত টেলিযোগাযোগ অবকাঠামোর স্থাপন নিরবচ্ছিন্ন সংযোগ নিশ্চিত করবে এবং দেশের ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তির লক্ষ্য অর্জনে সহায়ক হবে। একইসঙ্গে, এটি অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত করার পাশাপাশি নতুন উদ্ভাবনের সুযোগ সৃষ্টি করবে। গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ইয়াসির আজমান বলেন, আমাদের গ্রাহকদের ক্রমবর্ধমান ডিজিটাল চাহিদা পূরণে নিরবচ্ছিন্ন ও নির্ভরযোগ্য সংযোগ নিশ্চিত করার প্রতি গ্রামীণফোন প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। উদ্ভাবনী ও উন্নত অবকাঠামো সমাধানের মাধ্যমে এই চাহিদাগুলো পূরণে আমাদের যৌথ প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন ইডটকোর সঙ্গে আমাদের এই দীর্ঘমেয়াদি অংশীদারিত্ব। নেটওয়ার্কের সক্ষমতা বাড়াতে এবং গ্রাহকদের জন্য আরও উন্নত ডিজিটাল অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করতে আমরা একত্রে কাজ করছি। একই সঙ্গে, আমরা ডিজিটালভাবে সক্ষম একটি জাতি গঠনে বাংলাদেশের অগ্রগতিতে অবদান রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ইডটকো বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজিং ডিরেক্টর সুনীল আইজ্যাক একমত প্রকাশ করে বলেন, ইডটকোতে আমাদের লক্ষ্য হলো, নির্ভরযোগ্য এবং উন্নত সংযোগ সেবা প্রদান করে নেটওয়ার্কের বাইরে থাকা জনগোষ্ঠীকে এই ব্যবস্থার আওতায় আনা। গ্রামীণফোনের সঙ্গে করা নতুন এই অংশীদারিত্ব আমাদের ফোরজি নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণে প্রয়োজনীয় অবকাঠামো গড়ে তুলতে এবং প্রত্যন্ত ও সুবিধাবঞ্চিত এলাকায় ডিজিটাল সুবিধা নিশ্চিত করতে সক্ষম করবে। গ্রামীণফোনের লক্ষ্যের সঙ্গে আমাদের দক্ষতাকে মিলিয়ে, আমরা ডিজিটাল বৈষম্য দূর করতে এবং বাংলাদেশের ডিজিটাল রূপান্তর যাত্রায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে চাই। এই সম্প্রসারিত চুক্তি ইডটকোর কার্যক্রম পরিচালনার মান বজায় রাখার প্রতিশ্রুতি পূরণ এবং দেশের ক্রমবর্ধমান সংযোগ চাহিদা পূরণে টেকসই সমাধান প্রদানের সক্ষমতার উদাহরণ। গ্রামীণফোন ও ইডটকোর এই অংশীদারিত্ব বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে টেলিকম খাতের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকাকে তুলে ধরে। উন্নত নেটওয়ার্ক সংযোগ দেশের ডিজিটাল লক্ষ্য পূরণ এবং লক্ষাধিক মানুষের জীবনমান উন্নত করতে সহায়ক হবে। সবাইকে নেটওয়ার্কের আওতায় এনে আরও সংযুক্ত এবং একটি প্রযুক্তিগতভাবে সক্ষম বাংলাদেশ গড়তে উভয় প্রতিষ্ঠানই অঙ্গীকারবদ্ধ।

Sabuj Bangla Tv © All rights reserved- 2011| Developed By

Theme Customized BY WooHostBD