0 Comments

চলমান নারী সাফ অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপে দুর্দান্ত ফর্মে থাকা বাংলাদেশি স্ট্রাইকার সাগরিকা হঠাৎ করেই আলোচনার কেন্দ্রে। গোলের বন্যা বইয়ে দেওয়া এই ফরোয়ার্ড শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করার পর নেপালের বিপক্ষেও এক গোল করেছিলেন।

কিন্তু সেই ম্যাচেই ঘটে যায় এক অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। যার জেরে তিন ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা ও মোটা অঙ্কের জরিমানার মুখে পড়তে হয়েছে তাকে।

 

রোববার অনুষ্ঠিত হাইভোল্টেজ বাংলাদেশ-নেপাল ম্যাচের ৫৪তম মিনিটে বল দখলের লড়াইয়ে জড়িয়ে পড়েন সাগরিকা ও নেপালের ডিফেন্ডার সিমরান রায়। মাঠের মাঝামাঝি জায়গা থেকে বন্না খাতুনের পাসে বল পেয়ে আক্রমণে ছুটে যাচ্ছিলেন সাগরিকা। কিন্তু প্রতিপক্ষের বক্সে ঢোকার আগেই পেছন থেকে ট্যাকেল করেন সিমরান।

এরপর বল দখলের চেষ্টায় দুইজনের মধ্যে উত্তেজনা চরমে পৌঁছায়। একপর্যায়ে সিমরান সাগরিকার চুল টেনে ধরেন, আর শুরু হয় হাতাহাতি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এগিয়ে আসেন দুই দলের অন্য খেলোয়াড়রা, তবে তখন পর্যন্ত পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণের বাইরে।

রেফারি দুজনকেই সরাসরি লাল কার্ড দেখান, আর ম্যাচ শেষে সাফ কর্তৃপক্ষ তাদের বিরুদ্ধে নেয় কঠোর ব্যবস্থা। উভয় খেলোয়াড়কেই তিন ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে, পাশাপাশি জরিমানা করা হয়েছে ৫০০ মার্কিন ডলার করে, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৬০ হাজার টাকারও বেশি। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকাস্থ সাফের মিডিয়া ম্যানেজার আয়ুশ খাদকা।

প্রসঙ্গত, সাধারণত সরাসরি লাল কার্ডে এক থেকে দুই ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। কিন্তু এবার অতিরিক্ত এক ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা ও অর্থদণ্ডে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন অনেকেই। ফুটবল বিশ্লেষকদের মতে, এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঠেকাতেই হয়তো দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে চেয়েছে সাফ।

সব ঠিক থাকলে, এই শাস্তি শেষে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে সাগরিকা ও সিমরান দুজনই ফিরতে পারবেন মাঠে। যেখানে আবারও মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ ও নেপাল। ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে আগামী সোমবার। এখন দেখার বিষয়, মাঠে ফিরে সাগরিকা নিজের আগের ফর্মে ফিরতে পারেন কি না। তবে আপাতত এই শাস্তিকে অনেকেই আখ্যা দিচ্ছেন ‘লঘু পাপে গুরুদণ্ড’ হিসেবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Posts