পাকিস্তানের বিপক্ষে শেষ টি-টোয়েন্টিতে নিজের বলে ফিল্ডিং করতে গিয়ে চোট পান এই ফাস্ট বোলার। ডানহাতে সেলাই পড়ে চারটি। খেলতে পারেননি তাই চট্টগ্রাম টেস্টে।
মিরপুর টেস্টের স্কোয়াডে তাকে ফেরানো হয়। তবে তার সেলাই খোলা হয় মাত্র বুধবার। এরপর বৃহস্পতি ও শুক্রবার দলের সঙ্গে অনুশীলন করেন তিনি। প্রথম দিন শুরুতে ছোট্ট রান আপে কয়েকটি ডেলিভারি করার পর পুরো রান আপে বোলিং করেন কিছুক্ষণ। শুক্রবার অবশ্য নেটে পুরোদমেই বোলিং করেন। দুই দিনই বোলিং কোচ ওটিস গিবসনের নিবিড় তত্ত্বাবধানে চলে তার অনুশীলন।
সাম্প্রতিক সময়ে তাসকিনের যা ফর্ম, তাতে ফিট হয়ে উঠলে তাকে খেলাতে মরিয়া থাকার কথা দলের। টেস্টে এই বছর বাংলাদেশের সফলতম পেসার তিনি, তিন সংস্করণ মিলিয়ে দ্বিতীয় সফলতম পেসার। তার ক্যারিয়ারের পুনরুজ্জীবন হয়েছে এই বছর। গতি, আগ্রাসন, স্কিল ও ধারাবাহিকতার সমন্বয়ে নিজেকে উপস্থাপন করেছেন নতুন রূপে।
তাকে খেলাতে দলের আগ্রহ বেশি থাকার কথা অন্য পেসারদের পারফরম্যান্সের কারণেও। চট্টগ্রাম টেস্টে পেসার আবু জায়েদ চৌধুরি ছিলেন একদমই নিষ্প্রভ। আরেক পেসার ইবাদত হোসেন চৌধুরি শুরুটা ভালো করেননি। পরে অবশ্য কয়েকটি স্পেলে দুর্দান্ত বোলিং করেন। শেষ ইনিংসে আবার খুব একটা ধার ছিল না তার বোলিংয়ে।
দলে তাসকিনের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে তাই সংশয় নেই বিন্দুমাত্র। কিন্তু ভাবনার জায়গা তার হাতের অবস্থা।
ক্ষত পুরোপুরি না শুকিয়ে ম্যাচ খেলতে নেমে গেলে বড় ঝুঁকির জায়গা রয়ে যায়। বোলিংয়ের সময় বা ফিল্ডিংয়ে আবার সেখানে আঘাত লাগতেই পারে। সেক্ষেত্রে শঙ্কায় পড়ে যাবে নিউ জিল্যান্ড সিরিজে তার খেলা।
মিরপুর টেস্ট শেষ হওয়ার পরদিনই নিউ জিল্যান্ডের উদ্দেশে উড়াল দেবে বাংলাদেশ দল। সময় তাই একদমই কম।
ম্যাচের আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে অধিনায়ক মুমিনুল হকও বললেন, তাসকিনকে নিয়ে ঝুঁকি নিতে চান না তারা।
“ওর অবস্থা যদি বলেন, এখনও ওইভাবে… এই ম্যাচ খেলার জন্য হয়তো কালকে পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। হয়তো কালকে আরেকটু দেখতে হবে (হাতের অবস্থা)। তখন সিদ্ধান্ত নিতে পারব। তবে আমার কাছে মনে হয়, নিউ জিল্যান্ডে খেলার জন্য বেশি প্রস্তুত থাকবে সে।”