পেঁয়াজের দাম সপ্তাহের ব্যবধানেই বেড়েছে কেজিপ্রতি ২০ টাকা। গতকাল প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৫৮ থেকে ৬০ টাকায়। যেখানে গত সপ্তাহেই পেঁয়াজের দাম ছিল ৩৮-৪০ টাকা। হঠাৎ করে পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি নিয়ে ব্যবসায়ীরা বলছেন, ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ এবং দেশী পেঁয়াজের সরবরাহ কম থাকায় মূলত পেঁয়াজের দাম ঊর্ধ্বমুখী। তবে চাল এবং সবজির বাজার স্বাভাবিক রয়েছে।
ছুটির দিন হিসেবে গতকাল ও আজ শনিবার রাজধানীর বাজারগুলোতে তুলনামূলক কম ভিড় দেখা গেছে। এর কারণ হিসেবে ব্যবসায়ীরা বলেছেন, অনেকেই এখন ভ্যান থেকে সবজি কেনেন। ফলে বাজারে ক্রেতা উপস্থিতি কম। এছাড়া অনলাইন ও সুপারশপ থেকে কেনার প্রবণতা বৃদ্ধিকেও কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন ব্যবসায়ীরা।
এ সপ্তাহে স্থিতিশীল ছিল সবজির বাজারও। প্রতি কেজি ঢেঁড়শ ৩৫-৪০, পেঁপে ৩৫-৪০, কাঁচা আম ৩০-৩৫, চিচিঙ্গা ৪০ , কাঁকরোল ৩০, বেগুন ৪০, শসা ৩০, দেশী কচুর লতি ৫০, আলু ১৮, টমেটো ৪০ ও কাঁচামরিচ ২০-২৫ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। তবে করলার দাম কেজিপ্রতি ১০ টাকা বেড়ে বিক্রি হয়েছে ৭০ টাকায়।
কমেছে লেবুর দাম। আকারভেদে প্রতি হালি লেবুর দাম ১০-২০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হতে দেখা গেছে। প্রতি কেজি লাল-হলুদ ক্যাপসিকাম ২৫০ ও সবুজ ক্যাপসিকাম বিক্রি হয়েছে ১৭০ টাকায়। মাঝারি সাইজের লাউ ৬০ ও বড় লাউ ৭০ এবং মাঝারি সাইজের মিষ্টিকুমড়া প্রতি পিস ৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
বেড়েছে রসুনের দাম। বাজারে প্রতি কেজি দেশী রসুন ১০ টাকা বেড়ে ৮০ টাকা এবং ভারতীয় রসুন ১২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। দেশী আদাও কেজিতে বেড়েছে ১০ টাকা এবং ২০ টাকা বেড়েছে চীনা আদায়। প্রতি কেজি দেশী আদা ১০০ ও চীনা আদার দর ১২০ টাকা।
গতকাল মিনিকেট চাল বিক্রি হয়েছে ৬০ টাকা কেজি দরে। বাজারে প্রতি কেজি নাজিরশাইলের দাম ৬৫, আটাশ চাল ৫০ ও পাইজাম চাল ৪৭ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। ৮৬ টাকা দরের চিনিগুঁড়া চালের দাম অপরিবর্তিত আছে। রাজধানীর কারওয়ান বাজার, শ্যামবাজার, যাত্রাবাড়ী, পলাশী, নিউমার্কেট, জুরাইন বাজার ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র।
প্রতি কেজি খেসারির ডাল ২ টাকা বেড়ে ৭৮ টাকা এবং মুগডাল ১৩০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা যায়। সাদা ও লাল চিনির দাম এখনো কমেনি। প্রতি কেজি সাদা চিনির দাম ৭০ টাকা এবং লাল চিনির দাম ছিল ৭৫ টাকা।
বাজারে প্রতি কেজি আটা ৩০ ও ময়দা ৩৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে। প্রতি কেজি খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হয়েছে ১৩৫ টাকায় এবং পামঅয়েল বিক্রি হয়েছে ১২৫ টাকায়। প্রতি ৫ কেজি বোতলজাত সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ৬৮৮ টাকায়।
মুরগির মাংসের দাম অপরিবর্তিত থাকলেও কমেনি লাল মাংসের দর। প্রতি কেজি সাদা মুরগির মাংস ১৩৫ টাকা এবং সোনালি মুরগির মাংস ২২০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
এদিকে গরুর মাংসের কেজি ঊর্ধ্বমুখীই আছে। প্রতি কেজি গরুর মাংসের দাম ৫৮০-৬০০ টাকা এবং খাসির মাংসের দাম ৮০০-৯০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে।