বুধবার, ৩০ জুলাই ২০২৫, ০৯:৫৭ অপরাহ্ন

দুর্নীতি আমলে নিচ্ছেন না স্বাস্থ্যমন্ত্রী: জিএম কাদের

সবুজবাংলা টিভি / ২০৯ পাঠক
প্রকাশ বুধবার, ৩০ জুন, ২০২১

স্বাস্থ্য খাতের ‘অনিয়ম ও দুর্নীতি’ কমাতে কোনো ‘উদ্যোগ নেই’ বলে অভিযোগ করেছেন সংসদে বিরোধী দলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদের।

তিনি বলেছেন, স্বাস্থ্যমন্ত্রী বিষয়টি আমলে নিচ্ছেন না।

আজ মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে নতুন অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, গণমাধ্যমে প্রকাশিত স্বাস্থ্য খাতের অনিয়ম এখন দেশব্যাপী আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। কিন্তু দুর্নীতি কমানোর জন্য কোনো কার্যকর উদ্যোগ চোখে পড়ে না।

জিএম কাদের বলেন, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রীসহ দায়িত্বপ্রাপ্তরা দুর্নীতির বিষয়টি আমলে নিচ্ছেন বলে মনে হয় না। অভিযোগগুলো গুরুতর। দেশবাসী আশা করে বিষয়টি গুরুত্বের সাথে নিয়ে যথাযথ তদন্ত হবে ও দোষীদের শাস্তির আওতায় আনা হবে।

বাজেটে স্বাস্থ্যখাতে জিডিপির শূন্য দশমিক ৯৫ শতাংশ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে মন্তব্য করে এর সমালোচনা করেন তিনি।

জিএম কাদের বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) সুপারিশ অনুযায়ী স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ হওয়া উচিত কমপক্ষে জিডিপির ৫ শতাংশ।

তিনি বলেন, কোভিড- ১৯ মহামারীর কারণে জীবিকা হারিয়েছে কোটি কোটি মানুষ। তাদের মধ্যে যারা হতদরিদ্র তাদের না খেয়ে থাকার অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। জীবিকা হারিয়ে নতুন দরিদ্র হয়েছে প্রায় ২ কোটি ৫০ লাখ মানুষ।

তিনি বলেন,… করোনার কারণে লকডাউন ও ব্যবসা বাণিজ্যে মন্দা দীর্ঘস্থায়ী হলে দেশে দুর্ভিক্ষের অবস্থা সৃষ্টি হতে পারে। সেখানেও জীবন বিপন্ন হবে। আর্থিক ও খাদ্য সহায়তা দিয়ে এ সকল দারিদ্র ও নব্য দরিদ্রদের বাঁচিয়ে রাখতে হবে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সুপারিশ অনুযায়ী দেশের ৮০ শতাংশ মানুষকে করোনাভাইরাসের টিকার আওতায় এনে জীবনযাত্রা স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে উদ্যোগী ভূমিকার দাবি জানান জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান।

করোনাভাইরাসের টিকা দেশে উৎপাদনে সরকারি প্রতিষ্ঠান ‘অসহযোগিতা করছে’ বলেও অভিযোগ করেন জিএম কাদের।

প্রস্তাবিত বাজেটে ‘সুশাসনের ব্যতয়ের সুযোগ’ রাখা হয়েছে অভিযোগ করে জিএম কাদের বলেন, যতই অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হোক, সুশাসন না থাকলে দুর্নীতি, অপচয় ও সমন্বয়হীনতার কারণে বাজেট বাস্তবায়ন সম্ভব হয় না।

তিনি বলেন, বাজেটে কালো টাকা সাদা করার যে সুযোগ রাখা হয়েছে সেটা দুর্নীতিকে বৈধতা দেওয়ার শামিল, এটি সুশাসনের পরিপন্থি। এ বিষয়টি নিশ্চিতভাবে দুর্নীতিকে উৎসাহিত করবে।

ব্যাংক খাতের পরিস্থিতির সমালোচনা করে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, গত ১০ বছরে ব্যাংক খাতের অবস্থা খারাপের দিকে গেছে। এর প্রধান কারণ হচ্ছে, বিগত সময়ে আর্থিক অনিয়মের ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।


এই পাতার আরো খবর
এক ক্লিকে বিভাগের খবর