করোনাভাইরাস প্রতিরোধে দেশব্যাপী এক সপ্তাহের লকডাউন ঘোষণা করেছে সরকার। আর লকডাউনের প্রথম দিন সোমবার (৫ এপ্রিল) রাজধানীর বাজারগুলোতে সবজির দাম বেড়েছে অনেকটাই। কেজিপ্রতি সবজির দাম বেড়েছে ৫ থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত। তবে স্থিতিশীল রয়েছে অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যগুলোর দাম।
সরেজমিনে রাজধানীর কাওরান বাজার, হাজীপাড়া বৌ বাজার, রামপুরা, মালিবাগ, শান্তিনগর ও সেগুনবাগিচা বাজার ঘুরে এ পরিস্থিতি দেখা গেছে। তবে লকডাউনের বাজারেও কোনো সবজির কমতি নেই। আলু, পটল, করলা, টমেটো, শিম, লাউ, কাঁচা-পাকা মিষ্টি কুমড়া, ঢেঁড়স, বেগুন, মূলা, লাল শাক, পালং শাক, লাউ শাক সবকিছুই বাজারে ভরপুর।
কাওরান বাজারের পাইকারি ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, লকডাউনের আগে গতকাল (রবিবার) রাস্তায় অতিরিক্ত যানজটের কারণে সবজি পৌঁছাতে কিছুটা দেরি হয়। যার ফলে সবজির দাম বেড়েছে। তবে সরবরাহের সমস্যা না থাকলে পরিস্থিতি দ্রুতই স্বাভাবিক হয়ে আসবে।
দাম বেড়ে আজকে প্রতি কেজি ঢেঁড়স, বেগুন, পটল, বরবটি বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকায়। যা গতকালও ৫০ থেকে ৬০ টাকার মধ্যে ছিল। দামবৃদ্ধির তালিকায় রয়েছে আলু, পেঁপে, টমেটোও।
মালিবাগ বাজারে সবজি বিক্রেতা হাসানুজ্জামান বলেন, গতকাল যে আলু ২০ টাকায় বিক্রি করেছি তা আজ ২৫ টাকা, পেঁপে ২৫ থেকে বেড়ে ৩০ টাকা আর টমেটো ২০ থেকে বেড়ে ৩০ টাকা হয়েছে। পাইকারিতে কাওরান বাজারে প্রতি পাল্লায় (৫ কেজি) সবজির দাম ৩০ থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। ফলে আমাদেরকে ৫ থেকে ১০ টাকা বাড়িয়ে বিক্রি করতে হচ্ছে।
সবজির এমন দামে ক্রেতাদের মধ্যে কিছুটা অস্বস্তি বিরাজ করছে। ঠাণ্ডা সবজি হিসেবে পরিচিত লাউয়ের দামও বেশ বেড়েছে। গত সপ্তাহে ৪০ থেকে ৪৫ টাকা পিস বিক্রি হওয়া লাউয়ের দাম বেড়ে হয়েছে ৬০ থেকে ৬৫ টাকা।
শান্তিনগর বাজারে আরিফুর রহমান বলেন, সবজির কোনো কমতি নেই। বাজারে লকডাউনের কোনো প্রভাবও নেই। সেই হিসাবে সব সবজিরই দাম কমার কথা। কিন্তু বাজারে এসে দেখি সবকিছুরই দাম বেড়ে গেছে। কোনোরকম অজুহাত পেলেই দাম বাড়িয়ে দেন বিক্রেতারা। এটা তাদের স্বভাবে পরিণত হয়েছে।
তবে সবজির দাম বাড়লেও বাজারে পেঁয়াজ, আদা, রসুনের দাম লকডাউনে নতুন করে বাড়েনি। প্রতিকেজি পেঁয়াজ ৩৫ টাকা, আদা ও রসুন মানভেদে ১২০ থেকে ১৪০ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে।
রামপুরা বাজারের মুদি দোকানি রফিক মিয়া জানান, লকডাউনের পরে তেল, চিনি, আটার মতো পণ্যগুলোর দাম স্থিতিশীল রয়েছে। এখনও বাজারে লকডাউনের কোনো প্রভাব লক্ষ্য করা যায়নি। পাইকারি বাজার খোলা থাকায় সরবরাহ স্বাভাবিক রয়েছে।